নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ অনেক ফজিলতে পরিপূর্ণ। এ নামাজে মানুষের মর্যাদা অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাহাজ্জুদ নামাজ প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য পড়া আবশ্যক ছিল।
হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়অ সাল্লাম বর্ণনা করেছেন। আবার তাহাজ্জুদ নামাজে বিশেষ দোয়া ও আয়াত পড়ার নির্দেশনাও এসেছে হাদিসে।
‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজের রাতে উঠতেন এবং এ আয়াতসহ শেষ পর্যন্ত পড়তেন। তাহাজ্জুদ নামাজে এ দোয়াসহ শেষ পর্যন্ত পড়া সুন্নাত।’ (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
হাদিসে ঘোষিত দোয়াটি হলো-
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ – رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ – رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ
উচ্চারণ: রাব্বানা মা খালাক্বতা হাজা বাত্বিলাং সুব্হানাকা ফাক্বিনা আজাবান্নার। রাব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন নারা ফাক্বাদ আখঝাইতাহু ওয়া মা লিজজ্বালিমিনা মিন্ আংছার। রাব্বানা ইন্নানা সামিনা মুনাদিয়া ইউনাদি লিল-ঈমানি আন আমিনু বি-রাব্বিকুম ফা-আমান্না, রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফ্ফির আন্না সাইয়্যেআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআল আবরার।
অর্থ :‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহানড়বামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহানড়বামে নিক্ষেপ কর তাকে অপমানিত কর। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৯১-১৯৩)
এ আয়াত থেকে সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজে পড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতি আমল।
গভীর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজে দাঁড়িয়ে এ আয়াতের অর্থের প্রতি ধ্যান রাখলেই মানুষের চিন্তা-চেতনায় ফুটে ওঠবে আল্লাহর সৃষ্টি জগতের অপার রহস্য। যা মানুষকে আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভের দিকে টেনে নিয়ে যায়। ঈমানদারে ঈমানও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত তাহাজ্জুদ নামাজে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতি আমল নিয়মিতভাবে আদায় করা। উল্লেখিত দোয়াসহ সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত পড়ে তার সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে নিবেদিত করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবির অনুসরণ ও অনুকরণে তাহাজ্জুদ নামাজের সুন্নাতি আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।