দিল্লির ভারি বাতাসে অনুশীলন টাইগারদের, লিটনের মুখে মাস্ক


সবার জানা দিল্লিতে বাংলাদেশ দল প্র্যাকটিস করেছে। প্রথম টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লি সময় দুপুর ২টায় ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে নিবিড় অনুশীলন করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সৌম্য সরকাররা।

বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম টাইগারদের সেই প্র্যাকটিসের ছবি পাঠিয়েছেন বিসিবি মিডিয়া হোয়াটস আপ গ্রুপে। সেখানে একটি ছবির দিকে সবার চোখ আটকে গেছে। যেখানে মুখে মুখোশ (মাস্ক) পরে ক্যাচিং প্র্যাকটিস করছেন লিটন দাস।

কিন্তু কেন? লিটন মাস্ক পড়ে প্র্যাকটিসে কেন? তবে কি যা শোনা যাচ্ছিলো, সেটাই সত্য? মানে দিল্লিতে যে বায়ু ও পরিবেশ দূষনের কথা শোনা যাচ্ছিলো, সেটাই কি ঠিক? প্রশ্ন উঠলো কম বেশি সবার মনে।

বলার অপেক্ষা রাখেনা, দিল্লির পরিবেশবিদরাও কদিন ধরে বলে আসছেন যে সেখানকার পরিবেশ দূষিত। বাতাস ভারি। এবং আকাশ খানিক ঘোলাটে শীতের সকালের মতো।

যত সময় গড়াবে সেটা বাড়বে। অর্থাৎ ৩ নভেম্বর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দিন দিল্লির আকাশ আরও ঘোলাটে থাকবে। আর বাতাসও আরও ভারি হয়ে উঠবে। তাতে খেলা কঠিন হতে পারে এবং ক্রিকেটারদের শরীরও খারাপ করতে পারে।

দিল্লি তথা ভারতের নামি পরিবেশবিদরা এই দাবি করেছেন। তারা বিসিসিআইয়ের নতুন কর্ণধার সৌরভ গাঙ্গুলির কাছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিল্লি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার অনুরোধও করেছেন।

এদিকে তাদের সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সত্যিই দিল্লির ম্যাচ অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে কিনা, সে খবর জানতে আজ সকালে থেকে বিসিবিতে যোগাযোগ করা হয়েছিল।

কিন্তু বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছিলেন, ‘আমরা মানে বিসিবি কিছুই জানিনা। বিসিসিআই থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি।’

আর দিল্লিতে জাতীয় দলের সাথে অবস্থানরত মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম মুঠোফোন আলাপে জানিয়েছিলেন, আমরা সবে কাল বুধবার রাতে দিল্লি পৌঁছেছি। প্রথম দিন প্র্যাকটিস করি। তারপর আকাশ ও বাতাস দেখে বোঝা যাবে অবস্থা কেমন। আর রাবিদ ইমামও বলেন, ম্যাচের ভেন্যু বদলের কোন খবর তার জানা নেই। সেটা বিসিসিআইয়ের এখতিয়ার।

এদিকে আজ প্র্যাকটিসে লিটন দাসকে মাস্ক পড়ে ক্যাচিং অনুশীলনে দেখা গেছে। এর কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রাবিদ বলেন, ‘লিটনের শুরুতে একটু সমস্যা হচ্ছিল, তাই তিনি মাস্ক পড়ে ক্যাচিং প্র্যাকটিস করেছেন। তবে বিষয়টা তত জটিল নয়।’

তাহলে দিল্লির আকাশ আর পরিবেশ কেমন? খেলা উপযোগী কি? ক্রিকেটারদের কোন অসুবিধা হচ্ছে কি? তারা কি কোনরকম অস্বস্তি বোধ করছেন না? এমন প্রশ্নে বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম বলেন, ‘নাহ, তেমন কোন অসুবিধা হয়নি। লিটন দাস ছাড়া আর কারো তেমন কোন অসুবিধা দেখা যায়নি। কেউ অস্বস্তিও বোধ করেননি। তবে দিল্লির আকাশ খানিক ঘোলা। আর বাতাসও স্বাভাবিকের চেয়ে একটু ভারি।’

রাবিদ ইমামের কথায় পরিষ্কার, দিল্লির আকাশ ও বাতাস যদি ঠিক এমন থাকে, তাহলে হয়ত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কারো তেমন সমস্যা হবে না। নির্বিঘ্নে ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হবে।

কিন্তু পরিবেশবিদরা যা বলেছেন, সেটা যদি সত্য হয়, মানে ৩ নভেম্বর খেলার দিন যদি দিল্লির আকাশ বেশ ঘোলা থাকে আর বাতাস আরও ভারি হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা তো হবেই। সেক্ষেত্রে এমনও হতে পারে যে, দু দলের ২২ ক্রিকেটারেরই মাস্ক পরে খেলতে হবে। সেটা খুব একটা ভালো দৃশ্য হবে না।