রাজধানীর দক্ষিণখান থানার প্রেমবাগান রোডে কেসি স্কুলের পেছনে একটি আবাসিক ভবন থেকে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পলাতক গৃহকর্তা। পুলিশের সন্দেহ গত ৩-৪ দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। পাঁচ তলা ভবনের চতুর্থ তলার ওই বাসাটি বাইরে থেকে দরজা বন্ধ পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয়দের দেয়া খবরে ৮৩৮ প্রেমবাগান রোডের ওই বাসায় যায় দক্ষিণখান থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
নিহত মায়ের নাম মুন্নি বেগম (৩৭), ছেলে ফারহান আবদীন, ও মেয়ে লাইভা ভূঁইয়া। মুন্নি বেগমের স্বামীর (গৃহকর্তা) নাম রকিব উদ্দিন ভূঁইয়া লিটন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ভাতসালায়। তিনি পেশায় টিঅ্যান্ডটির সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের দক্ষিণখান জোনের এডিসি হাফিজুর রহমান রিয়েল বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে দুর্গন্ধযুক্ত মরদেহ। দুর্গন্ধ পাওয়ার পর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তিনজনই হত্যার শিকার বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ৩-৪ দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়।
‘তাছাড়া সে বাসাটির প্রধান দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখা গেছে। মা মুন্নির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী রকিব উদ্দিন ভূঁইয়া লিটন পলাতক। তার খোঁজে অনুসন্ধান চলছে। তিন হত্যায় পুলিশের সন্দেহভাজনদের খোঁজ করা হচ্ছে।’
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে তিনজনের মরদেহের খবরে আলামত সংগ্রহে ঘটনাস্থলে কাজ করছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।
সুরতহাল ও হত্যার আলামত সংগ্রহ শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।