দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক ডিডি আহসান আলীর বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের পক্ষে মামলাটি করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জি এম আশরাফুল ইসলাম।
বেনাপোল কাস্টম অফিসার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জিএম আশরাফুল ইসলাম এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুদকের সাবেক ডিডি ও হবু মহাপরিচালক (ডিজি) পরিচয়দাতা আহসান আলীর অর্থ বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠান রিতু ইন্টারন্যাশনালের ৩১টি চালানে দুই কোটি দুই লাখ ৩৪ হাজার ৭০৮ টাকার শুল্ক ফাঁকির অন্যায় আবদার রক্ষা করতে না পারায় তিনি কাস্টম হাউস, বেনাপোলের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি বেনামি চিঠি লিখে দুদকসহ শতাধিক দপ্তর ও মিডিয়ায় বিতরণ করেন।
এর আগে তিনি মোবাইল নং-০১৭৭০০২৯৪১০১ থেকে কল করে কমিশনারসহ এ দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি, এসএমএস সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর সশরীরে এসে কমিশনারকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে কমিশনারের কক্ষে তার উপস্থিতিকাল মোবাইলে ভিডিও করে রাখা হয়। ভিডিও ক্লিপ, অডিও ক্লিপ ও হুমকির এসএমএস মামলার সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়।
জিএম আশরাফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি প্রায় দু‘হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৬৭ মণ (২.৫ মে. টন) ভায়াগ্রা বেনাপোল কাস্টম কমিশনার না ছাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মহল ও চোরাকারবারীদের গডফাদার আহসান আলীর নেতৃত্বে চোরাকারবারী ও সাংবাদিক নামধারী একটি সংঘবদ্ধ চক্র কমিশনার ও বেনাপোল কাস্টম হাউসের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেস্বর বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টেস অ্যাসোসিয়েশন ৮শ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি, কাস্টম হাউসকে স্থবির করা, আমদানি কমায় ও বাণিজ্য পরিবেশ বিনষ্টে কমিশনারকে হয়রানির অপরাধে দুদকের ভুয়া ডিজি পরিচয়দাতা আহসান আলীকে গ্রেফতারের দাবি করেছিল।