দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, আগামী ১৯ মে (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি। আজ রবিবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যালোচনা অনুযায়ী যদি ঘূর্ণিঝড় আম্পান তার গতি ও দিক পরিবর্তন না করে তাহলে আগামী ১৯ মে দিনগত রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখার জন্য এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে যেন মানুষজনকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যায়, সে লক্ষ্যে এবার আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপকূলীয় জেলার জেলা প্রশাসকদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে অনলাইনে সভা করেন।


যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আরও ২৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮৮৪।

অপরদিকে, এখন পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ৮৮ হাজার ৭৫৪ জন। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ৬০ জন এবং মারা গেছে ১ হাজার ২২৪ জন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই কোনো দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে, ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৭৩ এবং মারা গেছে ৯০ হাজার ১১৩ জন।

দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৩২ জন। বিভিন্ন রাজ্যে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪২৮টি। তবে ১৬ হাজার ২৪৮ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। ওই অঙ্গরাজ্যেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯ জন। অপরদিকে মারা গেছে ২৮ হাজার ১৩৪ জন। ওই অঙ্গরাজ্যে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৮টি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *