গত কয়েকদিন ধরে দেশে প্রতিদিন মৃত্যু ৭ থেকে ৯- ১০ জনের মধ্যে ঘুরলেও নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে কমতে শুরু করেছে মৃত্যুহার। অন্যদিকে বেড়েছে আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত মানুষের হার। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসেছে এমন পরিবর্তন।
গত সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার মধ্যে আক্রান্ত হিসেবে সনাক্তের হার ছিল মাত্র পাঁচ শতাংশের কিছু বেশি। কিন্তু আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ২৯ হাজার ৫৭৮টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে এ পর্যন্ত যে ৩ হাজার ৩২৮ জনের শরীরের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তার তুলনামূলক হার এসে পৌঁছেছে ১১.৪৪ শতাংশ। যা বৈশ্বিক হারের তুলনায় বেশি। তবে মৃত্যুর হার গত সপ্তাহে যেখানে বাংলাদেশের ছিল প্রাণ ৯ শতাংশের কাছাকাছি তা এখন নেমে এসেছে ৩ শতাংশের কাছে (৩ দশমিক ৩০)। যা বৈশ্বিক হারের তুলনায় কম।
আজ বিকেল পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৫টি দেশে মোট ২২,৫৮,৯৮৪ আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১,৫৪, ৩৯০ জন, যা শতকরা হারে হয় ৬ দশমিক ৮৩। এ হিসেবে বৈশ্বিক তুলনায় এখন বাংলাদেশের মৃত্যুহার অর্ধেকে নেমে এসেছে।
যা থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত বেশি পরীক্ষা করা যাবে ততো আমাদের জন্যই ভালো। অর্থাৎ শনাক্ত যেরকম বাড়বে তেমনি আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার কমে আসবে, যে তথ্য মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও ইতিবাচক ভরসা তৈরি করবে। অর্থাৎ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেই যে সবার মৃত্যু ঘটবে না সেই তথ্যটিও মানুষের মধ্যে পৌঁছানো উচিত। মানুষকে সতর্ক রাখার জন্য ঘরে থাকতে বলার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে থেকে মৃত্যুর উৎকণ্ঠাও কমানো উচিত। নয়তো আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে ভুগতে থাকা অনেকে মৃত্যু চিন্তায় আরো বেশি অসুস্থ বোধ করতে পারেন।