নিউইয়র্কে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি


হাসপাতালের বেড খালি নেই। এক ভেন্টিলেটরে শ্বাস নিচ্ছে দুটি প্রাণ। ডাক্তার, নার্সরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে চলেছেন সবাইকে বাঁচাতে। অনেককেই আবার বাঁচাতে না পেরে ভেঙে পড়ছেন তারা। এমনই বিভীষিকাময় পরিস্থিতি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, শুধু নিউইয়র্ক শহরেই ১,৫৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আক্রান্ত ৭৫ হাজার ৭৯৫ জন।

নিউইয়র্ক নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্রকে করোনা ভাইরাস অসহায় করে দিয়েছে। হাসপাতালের বাইরে যারা রয়েছেন, তারা পড়েছেন বন্দিদশায়।

যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ অর্থাৎ প্রতি চার জনে তিন জনই লকডাউনের কবলে। এরইমধ্যে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৪০০ জন; আর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ অঙ্গরাজ্যের মধ্যে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) পর্যন্ত ৩২টিতে পুরোপুরি লকডাউন চলছে। নতুন করে মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, টেনেসি ও অ্যারিজোনায় বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে স্টেট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত সাড়ে ২৪ কোটি বাসিন্দা মঙ্গলবার পর্যন্ত আংশিক বা পুরোপুরি লকডাউনের শিকার। দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এরইমধ্যে রাজ্য গভর্নররা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে করোনা পরীক্ষার কিট চেয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফুসি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ বা তার অধিক মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

করোনার আরও বিস্তার রোধে প্রেসিডেন্ট  ট্রাম্প দেশের সাধারণ মানুষকে আরও ৩০ দিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *