নিবন্ধন অধিদফতরের দায় ভূমি মন্ত্রণালয় নেবে না ,ভূমিমন্ত্রী

banglashangbad

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, নিবন্ধন অধিদফতরের কোনো কাজের তথা ভূমি রেজিস্ট্রেশনের দুর্নীতির দায় ভূমি মন্ত্রণালয় নেবে না। তারা (সাব-রেজিস্ট্রার) আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করেন। আমি ইতোমধ্যে প্রস্তাব দিয়েছি যেন নিবন্ধন অধিদফতরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, জনস্বার্থে তাদের (নিবন্ধন অধিদফতর) হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসতে হবে, না হলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিটি ক্ষেত্রে সহমতে থেকে কাজ করতে হবে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারে সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বেসরকারি খাত একীভূতকরণ কর্মকর্তা মিজ রেবেকা রবিনসন এবং ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ভূমিমন্ত্রী দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও এর ডিজিটালাইজেশনের বিভিন্ন পরিকল্পনার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত এ সময় ভূমিমন্ত্রীকে ভূমি উন্নয়ন বিষয়ক যে কোনো সহায়তার আশ্বাস দেন।

এখন তদারকির কারণে দুর্নীতি করা সহজ হচ্ছে না। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি ভূমি সেক্টরে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের দুর্নীতি এখন একেবারে কমে এসেছে। আমরা এখন মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি কমানোর চেষ্টা করছি-বলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে আরও বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় একটি সেবামুখী মন্ত্রণালয়। ভূমি ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় হয়ে গেলে দুর্নীতির পরিমাণ কম ও উন্নত সেবা দেয়া সম্ভব হবে।’

‘বাংলাদেশ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে মিলার বলেন, ‘বোস্টন ও হার্ভার্ডসহ নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কনফারেন্সে উদীয়মান বাংলাদেশের ব্যাপারে আলোচনা করা হচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ‘সুপারস্টার’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সফলতার গল্পের চিরায়ত উদাহরণ। বিদেশে কাজ করা বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন তারা খুবই পরিশ্রমী ও বিশ্বস্ত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের ৫০ বছরের স্বাধীনতা উদযাপনে সহায়তার আশা ব্যক্ত করছি।’