ডেস্ক রিপোর্ট :: ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে কেরোসিন ঢালে জাবেদ হোসেন। এ সময় নুসরাতকে চেপে ধরে তারই সহপাঠী কামরুন্নাহার মনি।
শনিবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মদের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এসব স্বীকার করেন তারা।
জবানবন্দি রেকর্ড শেষে পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল এসপি মো. ইকবাল জানান, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন জাবেদ ও মনি।
এসপি মো. ইকবাল বলেন, জাবেদ নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেন। ওই সময় মনি নুসরাতের শরীর মাটিতে চেপে ধরেন। জবানবন্দিতে এ দুজন হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। নতুন কিছু নামও উঠে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রাখা হচ্ছে।
জাবেদ হোসেন ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে এবং কামরুন্নাহার মনি ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার হন।
৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাত জাহান রাফির শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার অনুসারীরা। এ ঘটনায় মামলা করেন নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার ও ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।