নৈরাজ্যের কারণেই নিরাপদ সড়কের আন্দোলন : ফখরুল


ডেস্ক রিপোর্ট ::সরকার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারাদেশে যে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে তার জন্যই নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শুরু হয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত গণঅনশনে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর ১২টায় গণঅনশন শুরু হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাদেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, তারই প্রমাণ এটা। আমরা দেখছি যে, দেশে এখন কোনো আইনের শাসন নেই। পুরো দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। এই দখলদার সরকার, তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে- মানুষকে শান্তি, নিরাপত্তা দিতে এবং জীবনের নিরাপত্তা দিতে।

ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উদ্দেশ করে ফখরুল বলেন, এখনও সময় আছে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। কারণ, তিনি গণতন্ত্রের প্রতীক, তিনি একমাত্র বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারবেন এবং আপনাদেরও রক্ষা করতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল কোর্টে গিয়েছিলাম। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি মিথ্যা মামলায় আজ ছোট অন্ধকার প্রকোষ্ঠে! আমি সেখানে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি বলে বুঝাতে পারব না। কারণ, আমি এমন খালেদা জিয়াকে কখনও দেখিনি। তিনি এত অসুস্থ যে, উনি মাথা সোজা করে বসতে পারছেন না! তার সব শরীরে যন্ত্রণা ও ব্যথা। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না। আর কিছু খেলেও সেটা থাকছে না, বমি করছেন।

খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করে তিনি।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে ফখরুল বলেন, আজকে আর বসে থাকবার সুযোগ নেই। এটা (অনশন) কোনো ছোট অনুষ্ঠান নয়। এটা একটা বড় আন্দোলন। এটা সামনে নিয়ে আমাদের সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, এটা ছোটখাটো সংগ্রাম ও লড়াই নয়। এটা হচ্ছে, আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। অনেকেই বলেন, এ সংকট বিএনপির। কিন্তু না। এটা পুরো জাতির সংকট।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন, আমরা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই যে স্বৈরাচার সরকার আমাদের বুকের ওপরে চেপে বসেছে- তাদের সরিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করি।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে গণঅনশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমানসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।