সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ ব্যাংক কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। ব্যাংক কোম্পানিগুলোর ওপর ভর করে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে।
এর মাধ্যমে বড় দরপতনের পরের কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিললো। তবে কমে গেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন কমে আবারও ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। ফলে শেষ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৭ কার্যদিবস ডিএসইর লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরে থাকলো।
লেনদেন শেষে ডিএসইর মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় বড় দরপতনের আভাস দিচ্ছিল। সকাল ১১টা ১০ মিনিটের দিকে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। ফলে লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতা ফিরে আসে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫টির। আর ৬টির শেয়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির দাম।
ব্যাংকের পাশাপাশি দামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। ডিএসইতে শেয়ারের দাম হাজার টাকার উপরে থাকা ১২টির মধ্যে ৮টিরই দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৪টির। তবে সব থেকে বড় বাজার মূলধনের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের শেয়ারের বড় দরপতন হয়েছে। এতে মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়নি।
গ্রামীণফোনের দরপতনের পরও ব্যাংক ও দামি বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ার প্রভাবে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্য সূচকের এ উত্থানের দিনে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৫১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরপরেই রয়েছে ফরচুন সুজ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে এরপরেই রয়েছে গ্রামীণফোন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, মুন্নু সিরামিক, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, ইস্টার্ন কেবলস, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৭টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির।