বাংলাদেশে জেলখানায় বন্দি চিত্রনায়িকা পরীমনির আইনি সহায়তার জন্য লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার পাঠাতে চান বিলেত প্রবাসী প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
লন্ডন-ভিত্তিক আইপি টিভি দর্পন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আব্দুল গাফফার চৌধুরী আরও বলেছেন, তিনি পরীমনির মামলার গতি-প্রকৃতির নজর রাখছেন।
গাফফার চৌধুরী বলেন, ন্যায়বিচার চেয়ে তিনি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন এবং আইনি সহায়তার জন্য বাংলাদেশের ব্যারিস্টারদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “এরইমধ্যে তিনজন ব্যারিস্টার অপারগতা প্রকাশ করেছেন। ক’দিন আগে একজন রাজি হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত যদি একজনও রাজি না হন, তাহলে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার পাঠানো হবে।“
গাফফার চৌধুরী বলেন, “পরীমনির সঙ্গে তার পরিচয় নেই। সরাসরি দেখেননি। ছবিতে দেখেছেন শুধু। কিন্তু হঠাৎ একদিন অনলাইনে দেখলাম চিৎকার করছে আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের কোনো অভিযোগ নেই। মাদকাসক্তের অভিযোগ আছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যেভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া র্যাব আসে তা ছিল রীতিমতো ভীতিকর।”
প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, “আমার কথা হচ্ছে, পরীমনি দোষী হলে নিয়মমাফিক তার বিচার হবে। আমি বিচারের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু তাকে ধরার সাথে সাথে বলা হচ্ছে, রাতের রানী। এভাবে চরিত্রহনন সম্পূর্ণ বেআইনি। অন্য কোনো দেশে হলে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতো।”
তিনি বলেন, “পরীমনি মেয়েটি অসম্ভব সুন্দরী। গরিবের ঘর থেকে এসেছে। এটাও একটা অপরাধ। বলা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আজও জানা গেল না সুনির্দিষ্ট অভিযোগটা কি? মদের বার নেই গুলশান,বনানীতে এমন বাড়ি কি আছে?”