পাটকল শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন পরিশোধে ১১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ


বেতন-ভাতার দাবিতে প্রায়ই আন্দোলনে নামেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকরা। এবার শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে বেশ আগেই চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট সপ্তাহের মজুরি পরিশোধে ১১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে এই অর্থ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে দিতে হবে বলে শর্ত আরোপ করে দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নূরউদ্দিন আল ফারুক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন আলিম জুট মিলস বাদে অন্যান্য পাটকলের শ্রমিকদের চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট সপ্তাহের মজুরি (জাতীয় মজুরি স্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী) পরিশোধের জন্য ১১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হলো।’

‘২০১৯-২০২০ অর্থবছরে অর্থ বিভাগের বাজেটে অপ্রত্যাশিত ব্যয় খাত হতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অনুকূলে পরিচালন ঋণ হিসেবে এ অর্থ দেয়া হলো।’

বরাদ্দের চিঠিতে বেশকিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বরাদ্দ দেয়া অর্থ বিজেএমসির কারখানাগুলোর জন্য যে খাতে দেয়া হয়েছে, এর বাইরে অন্য কোনো খাতে দেয়া যাবে না। আর সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে তা দিতে হবে।’

চিঠির শর্ত অনুযায়ী, বরাদ্দ দেয়া অর্থ ব্যয়ের সাত দিনের মধ্যে মিলভিত্তিক শ্রমিকদের তালিকাসহ বিস্তারিত বিবরণী অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। বরাদ্দ দেয়া অর্থ ব্যয়ে সরকারি বিধিবিধান মানার জন্যও বলা হয়েছে। আর এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে বলেও সাবধান করে দেয়া হয়েছে। এ জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি ও অর্থ বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষর করা শর্তগুলো মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।

যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে তা ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। আগামী ২০ বছরে ৫ শতাংশ সুদে প্রতি ছয় মাসের কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

চিঠিতে শেষে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, বরাদ্দ দেয়া অর্থ কেবল শ্রমিকদের মজুরিবাবদ পরিশোধ করতে হবে।