পানির নিচে চট্টগ্রাম পুরো


ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। নগরের নিচু এলাকাগুলোর মধ্যে জামালখান, চকবাজার, বাকালিয়া, শুলকবহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, প্রবর্তক মোড়, কে বি আমান আলী রোড, ডিসি রোড, চাঁদ্গা, শোলশহর ২ নম্বর গেট, নাসিরাবাদ ও দেওয়ানবাজার সন্ধ্যার পর থেকে হাঁটু পানির নিচে।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছিল। কিন্তু বিকেল ৫টার পর থেকে একটানা ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামীকালও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৮ কিলোমিটার বেগে। যা ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বাকালিয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই সমস্যার মধ্যে পড়ছে এই শহরের বাসিন্দারা। কর্তৃপক্ষ কেন প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু করছে না তা আমরা বুঝতে পারছি না।’

তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের দাবি, ড্রেন পরিষ্কার রাখতে এবং দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য তাদের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জোয়ারের সময় ভারী বৃষ্টির কারণে নিচু এলাকাগুলোয় পানি জমে গেছে। এ পানি দ্রুত নেমে যাবে।

পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত জনসাধারণের মাঝে সচেতনতার জন্য মাইকিং করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। চসিকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্ভাব্য দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ের জন্য শুকনো খাবার, পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সেবাদানের জন্য মেডিকেল টিম ও পর্যাপ্ত ওষুধপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পাশাপাশি নগরবাসীকে যেকোনো জরুরি সেবা দেয়ার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯ ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *