প্রথম আলোর নতুন আয়োজন ‘উত্তরের পথে’


প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার বাঙালি অভিবাসী বহু স্বপ্ন নিয়ে উত্তর আমেরিকায় পাড়ি দিচ্ছে। কিন্তু উত্তর আমেরিকায় আসার পর এদের প্রায় সবাই নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছে। যেমন-সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করা, নিজের জন্য চাকরি খোঁজা, বাসা-বাড়ি খোঁজা, বিদেশের আইনকানুন সম্পর্কে জানা, চিকিৎসা সুবিধা, সরকারি সুবিধাসহ আর কত কী!

উত্তর আমেরিকায় কয়েক লাখ বাঙালি অভিবাসী রয়েছে। যথার্থ জ্ঞান না থাকায় অনেকেই প্রতিদিন এসব ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যায় পড়ছেন। ঘড়িতে যেমনি উত্তর আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ে অনেক পার্থক্য, তেমনি বাস্তবেও বাংলাদেশের জীবনযাত্রার সঙ্গে উত্তর আমেরিকার জীবনযাত্রায়ও তফাৎ অনেক।

বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক মেধাবী অভিবাসী উত্তর আমেরিকায় এসে প্রচুর কায়িক শ্রম করে দিনাতিপাত করছে। জানা না থাকায় তারা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছে না। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আবার অনেকে চাকরি না পেয়ে ট্যাক্সি চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি শেষ করে অনেক অভিবাসী উত্তর আমেরিকায় এসে রেস্টুরেন্টে কাজ করছেন কিংবা ক্যাব চালাচ্ছেন। উত্তর আমেরিকার আইন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান না থাকায় নানা পুলিশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকে বাসা-বাড়ি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বা বেশি ভাড়া দিয়ে অনেককে থাকতে হচ্ছে। না জানার কারণে বহু অভিবাসী সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পথ না জানার কারণে এই স্বপ্নবাজ মানুষদের কত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তার শেষ নেই। ফলে তাদের স্বপ্নের প্রবাসজীবন দুঃস্বপ্নে ভরে যাচ্ছে।

‘অচেনা পথ জঙ্গলের সমতুল্য’—এই স্বাপ্নিক অভিবাসীদের উত্তর আমেরিকার একাকী দুর্গম চলার পথে সাহায্য করার মতো কেউ থাকে না। তাই প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা এসব অভিবাসীর কথা মাথা রেখে আগামী ডিসেম্বর মাসে চালু করছে ‘উত্তরের পথে’।

‘উত্তরের পথে’ প্রতি মাসে শেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হবে। ‘উত্তরের পথে, আপনার সঙ্গে’ এই স্লোগান নিয়ে আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ড. রাজুব ভৌমিকের সম্পাদনায় প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার এই আয়োজন।

‘উত্তরের পথে’ আয়োজনে প্রবাসজীবনের নানা সমস্যার সমাধান তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে। বাঙালির ‘আমেরিকান ড্রিম’ বাস্তবায়নের সঙ্গী হতে নানা পরামর্শমূলক তথ্য দেবে। অভিবাসীদের সাহায্য করতে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনার ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *