প্রথম পর্যায়ে মনোনীত ১৩ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী


একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির লক্ষ্যে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার রাতে ভর্তির ওয়েবসাইটে (http://www.xiclassadmission.gov.bd/) ফল তুলে দেয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীরা রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল দেখতে পাচ্ছে। এ ছাড়া নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএসেও ফল জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির লক্ষ্যে এবারও তিন ধাপে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেয়া হয়েছে। রোববার রাতে প্রথম ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৬ জন পছন্দের কলেজে ভর্তির মনোনয়ন পেয়েছে। বৈধ আবেদনকারী ছিল ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৬ জন। সেই হিসাবে আবেদন করেও কলেজ বা মাদ্রাসা পায়নি ৯৭ হাজার ৮১০ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭২ জন। এ দফায় আবেদনকারী ছিল ১৪ লাখ ২৩ হাজার ৫০৬ জন। বাকি ৭ হাজার ৬৩০ জনের আবেদন বাতিল হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক যুগান্তরকে বলেন, এবার ভর্তিচ্ছুরা অনেক যৌক্তিক ছিল। আগে দেখা যেত মেধাক্রম অনুযায়ী যে যেই কলেজ পাবে না, সেখানেও সে আবেদন করেছে। শুধু তাই নয়, পছন্দের তালিকায় এক-দুই নম্বরে এ ধরনের কলেজ রাখত। এবার ৭০ শতাংশ আবেদনকারীই পছন্দের কলেজ বরাদ্দ পেয়েছে। কম নম্বর পেয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির মনোনয়ন পায়নি। এছাড়া আরও কিছু শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি। কলেজ নির্বাচনে ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে সবাই ভর্তির সুযোগ পেয়ে যাবে।

জানা গেছে, ভর্তির সুপারিশ বঞ্চিতদের ৯৭ হাজার ৮১০ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ ধারী ৪ হাজার ৫৭২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৮৪৩ জন। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা বোর্ডে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৮টি।

প্রথম দফায় মনোনীতদের ভর্তি নিশ্চায়ন (নির্বাচিত কলেজে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি ১৯৫ টাকা এসএমএসে জমা দিয়ে নিশ্চিত করা) আজ শুরু হচ্ছে। এটি টানা ১৮ জুন পর্যন্ত চলবে। এ নিশ্চায়নটিই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন হিসেবে গণ্য হবে। এ প্রক্রিয়ায় চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত না করলে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। পাশাপাশি তার প্রথম আবেদনটিও বাতিল হয়ে যাবে।

তবে প্রথম ধাপে মনোনয়নবঞ্চিত ও আবেদন না করা শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। ১৯ ও ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেয়া হবে। ২১ জুন রাত ৮টার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের ফল প্রকাশ করা হবে। ২২ ও ২৩ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। এ পর্যায়েও চান্স না পাওয়া বা আবেদন না করা প্রার্থীরা ২৪ জুন রাত ৮টার পর থেকে তৃতীয় ধাপে আবেদন করার সুযোগ পাবে। ২৫ জুন রাত ৮টার পর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম ধাপে ১২ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত আবেদন নেয়া হয়। এ সময়ে শুধু ঢাকা বোর্ডেই ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৮ ভর্তিচ্ছু একাদশে ভর্তির আবেদন করেছে। এছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৬৬টি, যশোর বোর্ডে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৭২টি, কুমিল্লা বোর্ডে ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৯১টি আবেদন পড়েছে। অন্য বোর্ডগুলোর অধীন কলেজেও এভাবে আবেদন জমা পড়েছে। তিন ধাপে আবেদন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ২৭ থেকে ৩০ জুন সংশ্লিষ্ট কলেজে টাকা জমা দিয়ে ভর্তি হতে হবে। ১ জুলাই তাদের ক্লাস শুরু হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *