সিলেটের বিশ্বনাথে গুচ্ছগ্রামে ঘর পেয়ে খুশি ২৫ গৃহহীন পরিবার। ‘শেখ হাসিনার অবদান, গৃহহীনদের বাসস্থান’, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গুচ্ছগ্রাম-২য় পর্যায় (সিভিআরপি) প্রকল্পের অধীনে বিশ্বনাথের খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারের পার্শ্ববর্তী পুষণী মৌজায় ‘পুষণী গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে’ ওই ২৫ পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে ঘরের দলিলপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় প্রত্যেক পরিবারকে দুটি করে কম্বল ও গাছের চারা দেওয়া হয়।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা নাছিমা বেগম (৩৫) বলেন, ভুলাগঞ্জ গ্রামে তার স্বামী স্বামী মোশাহিদ আলীর জন্ম হলেও দীর্ঘদিন থেকে তারা এবাড়ি ওবাড়ি রাত্রিযাপন করেছেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুমে তাকে একটি ঘর দেওয়া হয়েছে। তবে, পাকা টিনসেডের ঘরের অবস্থা নড়বড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ঠাণ্ডার দিনে কুয়াশার পানি (ঘরের চালের) ঘরে চলে আসে। দু’মাস পর ঝড়-তুফানের দিন আসলে কি হবে এই ভয়ে আছেন তিনি।
সেলিনা বেগম নামের (৩২) অপর এক নারীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ঘর দিয়েছেন, এজন্য তিনি প্রতিদিন দোয়া করেন। তবে, তারও অভিযোগ ঝড়ের দিনে কিভাবে সেখানে বসবাস করবেন।
জানা গেছে, গুচ্ছগ্রাম-২য় পর্যায় (সিভিআরপি) প্রকল্পের অধীনে বিশ্বনাথের খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারের পার্শ্ববর্তী পুষণী মৌজায় ‘পুষণী গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে’ ২৫টি টিনসেড ঘর নির্মাণ করা হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ওই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. তাহমিদুল ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। দেশের গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছে, যাদের জমি আছে ঘর নেই তাদেরকেও ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আরও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের অসহায় পরিবারদের চিরস্থায়ী আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা ঘর পেয়েছেন তারা হাত গুটিয়ে থাকবেন না। নিজে স্বাবলম্বী হতে হাঁস মুরগিসহ গবাদি পশু লালন পালন করতে হবে। এর আগে তিনি ফিতা কেটে মাল্টিপারপাস হলের উদ্বোধন করেন।
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইটের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ফজলুল করিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফাতেমা তুজ জোহরা, এসিল্যান্ড কামরুজ্জামান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমদ কুব্বার। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু ও সুবিধাভোগী মোশাহিদ আলী।