প্রবাসে বাংলাদেশী নারীদের ফুল ও সবজি বাগান


প্রবাসে বাংলাদেশের অভিবাসীরা শত ব্যস্ততার মাঝেও বাড়ীর সামনে ও পিছনে যে সামান্য জায়গাটুকু থাকে সেখানে ফুল ও সবজি বাগান করে থাকেন।

শীত প্রধান অঞ্চলে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের বিভিন্ন শহরে বাঙ্গালি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে গেলে চোখে পড়ে ফুলবাগান ও সবজি বাগান। মিশিগানে বছরের প্রায় ৮ মাসই ঠান্ডা, সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই চার মাস এখানে গরম, এই সময়টাই এখানে সবজি চাষ করা হয়।  

প্রায় প্রতিটি বাংলাদেশী পরিবার সামান্য হলেও সবজি লাগান।  বিশেষ করে শীতলাউ, কুমড়ো, সীম, ঝিঙ্গা, করলা, বেগুন, ঢেঢ়শ, মরিচ, ডাটা, কচুশাক, টমেটো ইত্যাদি।  অনেকে করেন ফুলের বাগান। বাগানে রকমারি ফুল গাছ লাগান।  

শখের বশবতী হয়েই সবাই বিশেষ করে নারীরা এসব করে থাকেন। এ ব্যাপারে কথা হয় ওয়ারেন সিটির ডল ভৌমিকের সাথে।

তিনি প্রতি বছরই ফুল ও সবজি বাগান করে থাকেন, এবছর করোনার জন্য যত্নের অভাবে খুব বেশী ফসল হয়নি এরপরও তিনি বিভিন্ন ধরণের সবজি লাগিয়েছেন ও ফসল হয়েছে। তার ফুল বাগানে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ, রজনীগন্ধ্যাসহ দু:প্রাপ্য বেশকিছু ফুলগাছ রয়েছে তার। বাড়ীর সামনের পুরো জায়গায় তিনি ফুলগাছ লাগান। গাদা, জিনিয়া, গোলাপ, কলাপাতা,বিভিন্ন প্রজাতির জবা, গন্ধরাজসহ বিভিন্ন রংয়ের, বিভিন্ন গন্ধের ফুলের সমারোহ এই বাগানে।

তার এই বাগানের ফুল দেখে অনেকেবিশেষ করে আমেরিকানরা ছবি তোলেন, জিজ্ঞাসা করেন ফুলের নাম, ফুলগাছের উৎপত্তিস্থলসহ বিভিন্ন প্রশ্ন। তিনি জানান, এই ফুলবাগানকে কেন্দ্র করে বিকেলে এখানে জমে উঠে কাঠবিড়ালি, পাখি, ভ্রমর, মৌমাছি, খরগোস, শিশু কিশোরদের মেলা।  যা তিনি খুব উপভোগ করেন।

তিনি আরো জানান, গ্রীষ্মে এখানে দিন অনেক বড়, সন্ধ্যা হয় ৯ টায় তাই কাজ থেকে বাড়ী ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে বাগানে গাছের যত্ন নেন, ঘাস, আগাছা পরিষ্কার করেন, পানি দেন,এতে শরীর মন দুটোই ভাল থাকে। দেশের তুলনায় এখানে কাঠবিড়ালি অনেক বেশী এবং এরা ফসলের প্রচুর ক্ষতি করে।

এখানের মানুষ কাঠবিড়ালি খুব ভালবাসে এবং তাদের খাবার দেয়। নীচে ডল ভৌমিকের ফুল ও সবজি বাগানের কিছু ছবি।


ডল ভৌমিকের ফুল বাগানে রকমারী ফুল  

ছবি : পার্থ সারথী দেব ।

 

কলমি শাক শবজি


ডল ভৌমিকের শবজিবাগান

রজনীগন্ধ্যা ও বাতাবি লেবুগাছ            


ঝিঙ্গা ও মিষ্টি লাউ                    


কচুশাক
     
ছবি : পার্থ সারথী দেব।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *