প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দেবে সরকার


দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯ এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে এ নীতি অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষ দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল কর্মসূচি চালু আছে। এর মধ্যে ৯৩টি উপজেলায় সরকারি অর্থায়নে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব স্কুলে শিশুদের উচ্চ পুষ্টির বিস্কুট দেয়া হয়। এর পাশাপাশি দেশের তিনটি উপজেলায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) অধীনে স্কুল মিল কর্মসূচি চালু রয়েছে। দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় বরগুনার বামনা, জামালপুরের ইসলামপুর এবং বান্দরবানের লামা উপজেলায়। শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন খিচুড়ি ও একদিন উন্নত পুষ্টি সম্পন্ন বিস্কুট দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ অটুট রাখতে পুষ্টিকর খাদ্য ভূমিকা পালন করে। বিদ্যালয়ের যাওয়ার উপযোগী শিশুদের এই চাহিদা পূরণ ও শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্কুল মিল কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কর্মসূচির আওতায় আনতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় দুর্গম চর, হাওর, উপকূলীয় অঞ্চল, পার্বত্য এলাকা, চা-বাগানসহ সব পিছিয়ে পড়া এলাকাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ১০৪ উপজেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল ফিডিং (বিস্কুট বিতরণ) চালু আছে। এবার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই স্কুল ফিডিং চালু করতে চায় সরকার।

নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, একটি শিশুর প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদার নূন্যতম ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *