প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে ফেলেও সংগঠনে সদস্য ভেড়াতে জঙ্গিরা তৎপর বলে জানিয়েছে র্যাব।
বরিশাল শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে সোমবার রাতে এক নারী এবং ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে এক পুরুষকে গ্রেপ্তারের পর এই চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
গ্রেপ্তার জান্নাতুল নাঈমা (২২) ও মোহাম্মদ আফজাল হোসেন (২৩) নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব।
বরিশালের মাদ্রাসাটি থেকে নাঈমার সঙ্গী এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। নাঈমা ওই তরুণীর সঙ্গে আফজালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দিয়ে তাকে সংগঠনে ভেড়ান বলে দাবি র্যাবের।
উদ্ধার তরুণী চট্টগ্রামের একটি কলেজে বিবিএ পড়ছেন। তার নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে অনুসন্ধানে নেমে বরিশাল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বিকালে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে করে জঙ্গিদের প্রেমের ফাঁদের তথ্য তুলে ধরেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ওই তরুণীর সঙ্গে ফেইসবুকে নাঈমার পরিচয়। নাঈমার ফেইসবুক গ্রুপে থাকা বরিশালের সাইফ নামে একজনের সঙ্গেও পরিচয় হয় ওই তরুণীর। তখন নাঈমা ও ওই গ্রুপের অন্য সদস্যরা সাইফের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক তৈরি করে দেন।
“পরে ওই তরুণী সাইফকে বিয়ে করার জন্য ২৬ জুন চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল চলে যান। তখন সাইফ ওই তরুণীকে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।”
ওই সময়ে চট্টগ্রামের ওই তরুণীকে জঙ্গিবাদে প্রলুব্ধ করা হয় বলে ওই তরুণী র্যাবকে জানিয়েছেন। সাইফও জঙ্গি সংগঠনটির সদস্য বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, নাঈমা চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ফেইসবুক একটি গ্রুপ খুলে বিভিন্ন নারীকে আনসার আল ইসলাম যুক্ত করতে তৎপর। গ্রেপ্তার আফজাল আনসার আল ইসলামের ঢাকার একটি এলাকায় সংগঠক।
র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, আফজাল সংগঠনে নারী সদস্যদের দলে অন্তর্ভুক্তিসহ তাদের মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল।
নাঈমার ফেইসবুক গ্রুপের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।