ক্রীড়া ডেস্ক :: আইপিএলের গত আসরের শেষ ম্যাচ থেকে শুরু করে চলতি আসরের প্রথম ছয় ম্যাচ- টানা সাত ম্যাচ হেরে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় কাটাচ্ছে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
এখনো পর্যন্ত চলতি আসরে ছয় ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ দেখেনি ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরে এখনো পর্যন্ত কোনো ম্যাচ না জেতা একমাত্র দলটিও ব্যাঙ্গালুরু। তাই অনুমিতভাবেই পয়েন্ট টেবিলের একদম নিচেই অবস্থান করছেন কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সরা।
তবে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকলেও ক্যাচ ছাড়া এবং নো বলের তালিকায় সবার ওপরেই রয়েছে কোহলির ব্যাঙ্গালুরু। এখনো পর্যন্ত ৬ ম্যাচে সবমিলিয়ে মোট ১৪টি ক্যাচ ছেড়ে ব্যাঙ্গালুরু। অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি প্রায় দুইটিরও বেশি!
নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও আন্দ্রে রাসেলের ১৩ বলে ৪৮ রানের ঝড়ে হেরে যায় ব্যাঙ্গালুরু। অথচ সে ম্যাচেও রাসেল ঝড় শুরুর আগে অন্তত ৪টি ধরার মত ক্যাচ হাতে রাখতে পারেননি কোহলিরা।
এছাড়াও সবশেষ ম্যাচে শ্রেয়াস আইয়ার যখন ৪ রানে ব্যাট করছেন তখন উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ ফেলে দেন উইকেটরক্ষক পার্থিব প্যাটেল। পরে ৬৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন দিল্লি ক্যাপিট্যালস অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।
১৪টি ক্যাচ ছাড়া বাদ দিলেও এখনো পর্যন্ত ম্যাচপ্রতি প্রায় ৬টি করে মিসফিল্ড এবং ওভারথ্রো করেছেন ব্যাঙ্গালুরুর ফিল্ডাররা। এ তালিকায় অবশ্য ব্যাঙ্গালুরুর সমানে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিট্যালসও।
তবে ক্যাচ ছাড়ার মতো নো বল করার তালিকাতেও এককভাবে সবার ওপরে কোহলির দল। এখনো পর্যন্ত ৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬টি নো বল করেছেন ব্যাঙ্গালুরুর বোলাররা। এ ছয়টি ফ্রি হিট থেকে বোনাস ২৪ রান সংগ্রহ করেছে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা।
যে দল ম্যাচ জেতার বদলে নো বল এবং ক্যাচ ছাড়ার তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে বসে থাকে, সে দল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকবে- তাই তো স্বাভাবিক। নয় কি?