ফেঞ্চুগঞ্জে তৃণমূল নেতা সুফি চৌধুরী ছাত্রদল থেকে বিএনপির সভাপতি


ওহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী। কর্মী থেকে নেতা হয়েছেন। ছাত্রদলের একাধিক পদ-পদবী নিয়ে  দীর্ঘ দুইদশক ধরে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এবার তরুণ বয়সে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে চমক দেখালেন সাবেক এই ছাত্রদল নেতা।

কাউন্সিলারদের ভোটে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরীকে পরাজিত করে সভাপতি নির্বাচিত হন ওহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী।

সম্প্রতি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। তরুণ বয়সে ওহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী বিএনপির  মত বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সভাপতি নির্বাচিত ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গণে চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছে।

রাজপথের একজন পরীক্ষিত নেতা কাউন্সিলারদের ভোটে সভাপতি  নির্বাচিত হওয়ায় বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যেমন উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন তেমনি সুফি চৌধুরীর অনুসারী শতশত নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে সুফি চৌধুরী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে  অনেকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কেউবা সুফি চৌধুরীর বিগত আন্দোলন সংগ্রামের ছবিসহ পোস্ট দিয়ে অভিনন্দিত করছেন।

ওহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী নব্বই দশকে ছাত্রাবস্থায় একজন কর্মী হিসাবে বিএনপির ছাত্র সংগঠন  জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সংপৃক্ত হয়ে সুফি চৌধুরী ছাত্রদলের রাজনীতির একজন পরীক্ষিত কর্মী হিসাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হন। ১৯৯৭ সালে ওহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী ভোটের মাধ্যমে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর সুফি চৌধুরী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটকে শক্তিশালী করে তুলেন। ২০০৩ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন সুফি চৌধুরী। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা ছাত্রদলের অন্যান্যে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ছাত্রদলকে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করতে কাজ শুরু করেন সুফি চৌধুরী।

ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়াড কমিটি গঠন করেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন ওহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের দাবী,সুফি চোধুরী আহবায়ককালীন সময় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল তৃণমূলে সব চেয়ে  শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত হয়। ছাত্রদলের আহবায়ক কালীন অবস্থায় সুফি চৌধুরী ২০০৮ সাল থেকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন  সুফি চৌধুরী। ২০১৫ সালের শেষের দিকে উপজেলা বিএনপির নব গঠিত কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বভারের পাশাপাশি একাধিক সময় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। বিএনপির রাজনীতি আর সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে সুফি চৌধুরী একাধিক বার হামলা মামলার শিকার হয়েছেন,কারাগারে অন্তরীন ছিলেন  কিন্ত রাজপথ আর দলীয় নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাননি।

সুফি চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবনের কথা বলতে গিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এম,জে আহমেদ জাবেদ বলেন, সুফি চৌধুরী সত্যিকারের একজন ব্যতিক্রমী নেতা। কর্মীবান্ধব  এই নেতা দলীয় নেতাকর্মীদের সন্তানদের মত ভালবাসেন,বিপদে আপদে তাদের আগলে রাখেন। সুফি চৌধুরী ছাত্রদলের আহবায়ক কালীন সময়ে সব চেয়ে শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত হয়। এখন তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বিএনপিকে সব চেয়ে শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করবেন  এই বিশ্বাস আমার আছে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এনায়েত হোসেন রুহেল বলেন, সুফি চৌধুরী একজন মানবিক নেতা।দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণত মানুষের বিপদে সে সব সময় পাশে দাড়ান।মানুষের মন জয় করার অসাধারণ গুণ রয়েছে সুফি চৌধুরীর। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি ওহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী বলেন,দলীয় নেতাকর্মীদের ভালবাসায় আমি অভিভূত।

দলীয় নেতাকর্মী আমার উপর যে দায়িত্ব প্রদান করেছেন আমি সবাইকে নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে গড়ে তুলে দেশ নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে আন্দোলনের পাশাপাশি দেশে গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারে ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *