ফেঞ্চুগঞ্জ এওলাছড়া থেকে বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন


সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সার কারখানার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত এওলাছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। যার ফলে কারখানার দেয়াল দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে  বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ও প্রশাসন নজরে আসছে না। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা এতে প্রশাসনের যোগসাজেশে আছে বলেও মনে করছেন।

এওলাছড়া বালি মহাল থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে উত্তোলন হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু। সাথেই সার কারখানার বড় প্রজেক্টের কাজ চলছে। যদিও এই বালু প্রজেক্টে ব্যবহারের নিয়ম নেই তারপরও কম খরচে পেয়ে কোম্পানি গুলো এই বালু দিয়েই চালিয়ে দিচ্ছেন কাজ।

সরজমিনে দেখা যায়,  সার কারখানা এলাকার উত্তর কলাবাগানের মাথায় দেয়াল খুঁটির গোঁড়ার মধ্যে বড় গর্ত করে  ট্রাকে বালু তোলা হচ্ছে।  মনিপুর বাগান সংলগ্ন ঘাট, পুরানবাজার ঘাটসহ ছয়টি ঘাটে প্রতিদিন লক্ষ টাকার বালু তোলা হচ্ছে।

জানা যায়, রাজনগর উপজেলার প্রধান তিনটি বালু মহালে মামলা থাকায় সেসব ছড়া থেকে লুকিয়ে কিছু বালু উঠানো হচ্ছে। যা বালুর চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে এই ছড়ার বালু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কোম্পানিগুলোর কাছে। আর কোম্পানি গুলো তাদের স্বার্থে নিন্মমানের এই বালু ক্রয় করছেন বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে সার কারখানা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মনিরুল হক জানান, দুষ্কৃতিকারী ও ভূমিধস্যুরা তাদের দৃষ্টির অগোচরে এই কাজগুলো করে। তাই এদের আইনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে  বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। বিষয়টি আমার জানা নাই। এ ব্যাপারে ইউএনও স্যার বলতে পারবেন।

এ ব্যাপরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।