মাত্র তিনদিন আগে র্যাবের অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন তিনি। তিনদিন পর আবারও একই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা শহরের বিভিন্নস্থানে ভুয়া সাইনবোর্ড টানিয়ে প্রতারণা করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল মোজাম্মেল হক নামে এক ভুয়া চক্ষু চিকিৎসক। গত সোমবার কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর বাজারে মায়ের দোয়া ফার্মেসি থেকে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার একই ব্যক্তিকে কেন্দুয়ার একটি ফার্মেসি থেকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক লাখ জরিমানা করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন সুলতানা উপজেলার রামপুর বাজারে মায়ের দোয়া ফার্মেসির চেম্বার থেকে মোজাম্মেল হক নামে এক চক্ষু চিকিৎসককে তার ডাক্তারি কাগজ পত্র দেখাতে বললে তা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে।
কিন্তু সেই ভুয়া চিকিৎসক বাড়িতে বসে না থেকে আবারও বৃহস্পতিবার চক্ষু রোগী দেখার জন্য কেন্দুয়া পৌর সদরে কেন্দুয়া ফার্মেসির চেম্বারে তিনি একজন এমবিবিএস ডাক্তারকে সঙ্গে করে নিয়ে চক্ষু রোগীদের ব্যবস্থা পত্রে নিজেকে আবার চক্ষুু চিকিৎসক হিসেবে উল্লেখ করেন।
এ সময় খবর পেয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলাম তাকে আটক করে জানতে চাইলে তিনি বলেন রোগী দেখছেন না, শুধু ভিশন টেস্ট করছেন কিন্তু দেখা গেল, ভিশন টেস্ট করে প্রদত্ত ব্যবস্থা পত্রে নিজেকে ‘চক্ষু চিকিৎসক’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে প্রশ্ন করলে তিনি স্বীকার করলেন, ভুল হয়েছে, বুঝতে পারেননি। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০এর ২৮(১)২৯(১) ধারার অপরাধে পুনরায় এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড আরোপ করেন। পরে এ ভুয়া চিকিৎসক নগদ এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে চলে যান। তিনি উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বহুলী গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।