বন্যায় কানাইঘাটে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি


টানা চার দিন বৃদ্ধির পর মঙ্গলবার থেকে কানাইঘাটে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বন্যার পানি টানা চার দিন থাকার কারণে ব্যাপক ক্ষিকর মুখে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা।

কৃষকরা এবার জমিতে শসা, ঝিঙ্গা, করলা, পুইশাক, কাচা মরিচ, লাউ, বরবটি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তাদের ফসল তলিয়ে গেছে পানিতে।

বুধবার সরেজমিনে কানাইঘাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বন্যার কারণে অনেক সবজি পচে গেছে। রোপণ করা সবজির গাছগুলোও পচন ধরতে শুরু করেছে।

উপজেলার ৬নং সদর ইউপি সুতারগ্রামের কৃষক শাহাব উদ্দিন বলেন, অনেক কষ্টের বিনিময়ে ২০ একর জায়গার উপর শসা চাষ করেছিলাম। কিন্তু বন্যার কারনে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল। বর্ষার শুরুর দিকে দিকে আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় শসা চাষ করার সিদ্ধান্ত নেই। বন্যা আসার আগে যে পরিমাণ শসা ধরেছিল তাতে আমি লাভবান হওয়ার আশায় ছিলাম। কিন্তু দুই দিনের ভিতরে বন্যা এসে আমার সব আশা ফিকে করে দিয়ে গেল। আমাকে অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির ফয়েজ আহমদ বলেন, প্রায় ১২ বিঘা জমির উপর রমজান মাসের আগে ঝিঙ্গা চাষ করেছিলাম। ঠিক একই জায়গায় ঝিঙ্গা শেষ হতে না হতেই বরবটি চাষ করি। দিনরাত পরিশ্রম করে বিভিন্ন রকম সার প্রয়োগ, কীটনাশক, ওষুধ প্রয়োগ ও পরিচর্যা করি। এই ১২ বিঘা জমিতে বরবটি চাষে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিগত টানা চার দিন বন্যার পানিতে আমার জমি ডুবানো ছিল। সেই কারনে অর্ধেক ফসল পচন ধরে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বন্যার পরিস্থিতি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখে গেছেন। আমাদের কানাইঘাটে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট প্রদান করেছি এবং প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে কৃষদের জন্য ত্রাণ পাওয়ার আশা রয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *