বসন্তের আগমনে লাল রঙে সেজেছে আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন শিমুল বাগান


বসন্ত এসেগেছে পহেলা ফাল্গুনে মধ্যে দিয়ে আর শীতের শেষে বিদায়ের বার্তা নিয়ে। বসন্ত মানেই নানা রঙের চোখ রাঙ্গানো বাহার। বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সাঁজে অপরূপ সৌন্দর্যে।গাছে গাছে ফুটে গাঁদা,গোপাল,শিমুল ফুল মন খেড়ে নেয়ার মত তার নানা বাহার। ঠিক তেমনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মানিগাও গ্রাম-সংলগ্ন জাদুকাটা নদীর তীর ঘেষা এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলা ভুমি প্রয়াত চেয়ারম্যান আলহাজ জয়নায় আবেদীনের রেখে যাওয়া শিমুল বাগান। যা প্রায় ১০০ বিঘা জমি জুড়ে ২০০২ সালে ২ হাজার ৪ শতক জমিতে সৌখিন বিলাসী প্রয়াত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন এই বিশাল বাগানটি গড়ে তুলেন।যা দেখে পর্যটকরা আকৃষ্ট হন এই শিমুল বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে।

বসন্তের আগমনে লাল রঙে সেজেছে শিমুল বাগান
বসন্তের আগমনে লাল রঙে সেজেছে শিমুল বাগান
আপনার প্রিয়জনকে নিয়ে সময় কাটাতে পারেন দেশের বৃহত্তর শিমুল বাগানে হয়ত আপনার মন ভালো হয়ে যেতে পারে একটু সময়ে। বাগানের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চোখ তাকালে চারদিকে শুধুই শিমুলের লাল রঙের ফুল দেখা যায়।শিমুলের ঝড়ে পড়া ফুল গুলো যেন পুড়ো ধুলো মাখানো মাটিকে লাল বর্ণে ধারন করে ফেলেছে। কেউবা এই ঝড়ে পড়া ফুলে দিয়ে নকশা একে ছবি তুলছেন প্রিয়জনকে নিয়ে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার পর্যটক ভিড় জমাচ্ছেন এই লাল-রঙের মন রাঙ্গানো শিমুল বাগানে।বাগানের ফুল গুলো যেন ডানা মেলে পর্যটকদের পিছু ডাকছে। জাদুকাটা নদীর তীর আর ওপারের ভারতের মেঘালয় পাহাড় এক পাশে লাল রঙের বিশাল শিমুল বাগান দেখে মনে এখানে যেন প্রকৃতির মহা কাব্যগ্রন্থ।

সিলেট থেকে আসা পর্যটকরা এক প্রতিবেদককে বলেন,আমরা শুধু এই শিমুল বাগানের ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি ,তবে বাস্তবে এসে দেখে মনে হচ্ছে দেশের কোথাও এত বড় লাল-রঙের বিশাল শিমুল বাগান আছে কিন আমাদের মনে হয় না। এখানে এসে আমাদের অনেক ভালো লেগেছে সময় পেলে আবারো আসার চেষ্টা করব।