বসুন্ধরা সিটি বন্ধের ঘোষণায় দেশজুড়ে প্রশংসার বন্যা


দেশজুড়ে ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭০৬ জন। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৫ জন। নতুন ১৩ মৃত্যুসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৯ জনে। এর মাঝেই সরকার দেশের সব দোকান-শপিং মল খোলার ঘোষণা দিয়েছে। তবে বসুন্ধরা সিটি শপিংমল ঈদে আগ পর্যন্ত না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। এতে দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

কণ্ঠশিল্পী শতাব্দী ভব সোশ্যাল সাইট ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক এবং নিউমার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক সমিতি। আশা করছি অন্যান্য মাকের্ট ও শপিংমলের সমিতিগুলোও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সবার আগে বেঁচে থাকতে হবে, ব্যবসা পরেও করা যাবে…।’

নুরুল ইসলাম গাজী লিখেছেন, ‘অভিনন্দন.. বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউ মার্কেট, চন্দ্রিমা ও গাউছিয়া সুপার মার্কেটও না খোলার মালিক পক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য।’

মো. আব্দুল মোমিন নামে একজন লিখেছেন, ‘বসুন্ধরা বা যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটা তুলনামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছুটা হলেও সম্ভব ছিল। তারপরও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বর্তমান অবস্থা যে দিকে এগিয়ে চলেছে, সেটা বিবেচনায় অন্যরাও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমরা সাধারণ জনগণ মনে করি।

মোশাররফ মামুন লিখেছেন, ‘বসুন্ধরা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময়ে শপিংমলে খুব বেশি বেচা-কেনাও হবে না। প্রথমত, অনেকের হাতে টাকা নেই। দ্বিতীয়ত, যাদের কাছে টাকা আছে, তারাও কতটুকু করোনার ঝুঁকি নিয়ে কেনাকাটা করবে, সেটিও ভাববার বিষয়। তাই বেশি তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে অর্থনীতি চালু করলে এসব ক্ষতি মধ‍্যম সময়ের মধ‍্যেই আমরা পুষিয়ে নিতে পারব। কিন্তু অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে সব খুলে দিলে মৃত্যু ও আক্রান্ত ব‍্যাপকভাবে বেড়ে অর্থনীতি একেবারে অচল করলে, তা রিকভারি করা হবে অনেক কঠিন।’

শাহেদ চৌধুরী লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের এই দুইটা শপিং মলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা। উনারা বুঝেছে যে, করোনা ছড়িয়ে গেলে উনাদের রেপুটেশন খারাপ হবে। দুই মার্কেট মালিকপক্ষ কে সচেতন হওয়ার জন্য ধন্যবাদ রইল। বাচ্চারাও নিরাপদে রইল। আশা করি, অন্যান্য মার্কেট মালিকদেরও বোধদয় হবে।’

এমন অসংখ্য প্রশংসাসূচক পোস্টে ছেয়ে গেছে সোশ্যাল সাইট। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফেসবুক পেইজে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন সাধারণ মানুষ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *