কত কাছে, তবু কত দূরে- বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এমন অবস্থায় পড়েছে অনেকবার। কখনো ১ রান, কখনো ২ রান আবার কখনো শেষ বলে ছক্কা খেয়ে হেরে যাওয়ার ঘটনা খুব একটা পুরনো নয়। সে তুলনায় ভারতের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে ৩০ রানের পরাজয়টি বরং সহজেই হার মেনে নেয়া।
কিন্তু শুধু স্কোরকার্ডে চোখ না বুলিয়ে যারা সরাসরি দেখেছে ম্যাচটি, তারাই বলতে পারবে আসলে এ ম্যাচটিতেও ঠিক কতোটা কাছে ছিলো বাংলাদেশ দল। তরুণ নাইম শেখ ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে ভর করে জয়ের সুবাতাস পেতে শুরু করেছিল টাইগাররা।
কিন্তু আগের ও পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পাওয়া হয়নি জয়। নাইম ও মিঠুনের ৬১ বলে ৯৮ রানের অসাধারণ এক জুটির পরেও বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৪ রানে, হেরেছে ৩০ রানের ব্যবধানে। অথচ একপর্যায়ে জয়ের জন্য ৪৮ বলে দরকার ছিলো ৬৯ রান। টি-টোয়েন্টি তো বটেই, ওয়ানডে ক্রিকেটেও এখন হরহামেশাই ছুঁয়ে ফেলা হয় এমন সমীকরণ।
বিধিবাম আজকের (রোববার) বাংলাদেশের ইনিংসে। ১৩তম ওভারে মিঠুন ২৯ বলে ২৭ রান করে ফেরার পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি উইকেটে। একাই লড়ে নাইম খেলেন ৪৮ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ের মারে ৮১ রানের ইনিংস। এ দুজন ব্যতীত আর কেউ পারেননি দুই অঙ্কও ছুঁতে, যার মাশুল দিতে হয়েছে ৩০ রানের পরাজয়ে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মেনে নিয়েছেন, ম্যাচটি জয়ের সুযোগ ছিল তার দলের। কিন্তু সে সুযোগটি নিতে পারেননি তারা।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘নাইম ও মিঠুন যেভাবে জুটি গড়েছিল, আমাদের সত্যিই দারুণ সুযোগ ছিলো। কিন্তু আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়েছি, যা আমাদের হাত থেকে ম্যাচটা নিয়ে গিয়েছে। এক পর্যায়ে ৫ ওভারে ৪৯ করতে হতো। আমাদের তখনও সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা তা হারিয়েছি। ছেলেরা মাঠে যে চেষ্টাটা করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
এ সময় সাহসী তরুণ নাইম শেখের প্রশংসা করতে ভোলেননি টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি নাইম খুবই প্রতিভাবান একজন ব্যাটসম্যান। সে যেভাবে তার ইনিংসটা সাজালো। খুবই শান্ত এবং সুস্থির থেকে। এছাড়া বোলিংয়ে আমাদের তিন পেসারই পরিকল্পনা মোতাবেক বোলিং করেছে। পুরো সিরিজেই তারা দুর্দান্ত করেছে।’