বাণিজ্য মেলায় নারী-শিশুদের ফ্রি পানি দিচ্ছে প্রাণ


মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফ্রি পানি নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নারী ও শিশু দর্শনার্থীরা। ‘প্রাণ ড্রিংকিং ওয়াটার শিশু ও নারী সবার জন্য পানি’ স্লোগানে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে পাঁচটি পয়েন্ট থেকে এ সেবা দিচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপ।

এ বিষয়ে প্রাণ বেভারেজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মো. আল-আমিন শিকদার বলেন, ‘১৭ জানুয়ারি থেকে আমরা বাণিজ্য মেলায় শিশু ও নারীদের ফ্রিতে পানি পানের ব্যবস্থা করেছি। প্রাণ-আরএফএল এর পাঁচটি প্যাভিলিয়নের সামনে থেকে এ সেবা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কেউ পানি চাইলেই আমরা দিচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে।’

শর্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ পানি নিতে আসলে, আমরা তাকে মোবাইল থেকে একটি এসএমএস পাঠাতে বলছি। এরপর ফিরতি এসএমএসে তার কাছে একটি কোড যাচ্ছে। এই কোড দেখালেই পানি দেয়া হচ্ছে। একজন সর্বোচ্চ তিনটি এসএমএস দিয়ে তিন বোতল পানি নিতে পারছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার দর্শনার্থী ফ্রি পানি নিচ্ছেন। এটা আরও বেশি মানুষ পাবে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিন ৫-১০ হাজার মানুষকে ফ্রি পানি দেয়া। মেলার শেষ দিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।’

মেলায় এমন উদ্যোগের কারণ হিসেবে আল-আমিন শিকদার বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে প্রাণ গ্রুপ সব সময় মানুষের পাশে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় মেলার ভেতরে পানির দাম বেশি রাখা হয়। এছাড়া মেলায় মানুষ ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু সব জায়গায় পানি পাওয়া যায় না। এতে বেশি সমস্যায় পড়েন শিশু ও নারীরা। তাই মেলার ভেতরে যাতে শিশু ও নারীরা সহজেই পানি পায় সেজন্যই আমরাদের এ উদ্যোগ।’

এদিকে ফ্রি পানি পেয়ে বেশ খুশি মেলার দর্শনার্থীরা। এ বিষয়ে রাইফা নামের একজন বলেন, মেলায় ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ প্রাণের এ ক্যাম্পেইন চোখে পড়ে। মোবাইলে এসএমএস দিয়ে ফ্রি পানি পেয়েছি। মেলার ভেতরে সাধারণত এমন উদ্যোগ দেখা যায় না। আমার কাছে এটা খুব ভালো লেগেছে।

শরিফ নামের আরেজন বলেন, ক্যাম্পেইন দেখে এসএমএস দিয়ে মেয়ের জন্য একটি পানির বোতল নিয়েছি। আমি আগেও মানবসেবায় প্রাণের এ ধরনের উদ্যোগ দেখেছি। এর আগে হজক্যাম্পে হাজযাত্রীদের প্রাণের পক্ষ থেকে ফ্রি খাদ্যপণ্য দেয়া হয়েছে। মানুষের উপকারে প্রাণের এ ধরনের উদ্যোগকে ধন্যবাদ না জানিয়ে উপায় নেই।