বিকল্প রাস্তা না করেই মহাসড়কে কালভার্ট নির্মাণ, দুর্ভোগে চালকরা


খুলনা-রাজশাহী মহাসড়কের ঝিনাইদহের ছালাভরা নামক স্থানে কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে ধীর গতিতে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহন চালকসহ পথচারীরা। দিনের বেলায় যানজট একটু কম থাকলেও রাতের বেলায় তা তীব্র আকার ধারণ করে ব্রিজের দু-পাশে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার যানজট লেগে থাকে।

জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে গুরুত্বপূর্ণ এ কালভার্টটির মাঝের অংশ দেবে যায়। পরে তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। ওই সময় কোনো রকমে কালভার্টের উপরেই এক সাইডে স্টিলের বেইলি ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। এ অংশটিই সড়ক পথে খুলনার সঙ্গে রাজশাহী বিভাগের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। যার ফলে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাকসহ দুই শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়ক বিভাগের নজরদারির অভাব আর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতি ক্রমেই দুর্ভোগ বাড়িয়ে চলেছে সড়কটিতে চলাচলে।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের অধীনে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটির নির্মাণ কাজ করছেন খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মুজাহার এন্টারপ্রাইজ। তিন মাসের মধ্যে কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও গেল এক মাসে এখনও সম্পন্ন হয়নি কালভার্টের এক সাইড ভাঙার কাজ। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে যেমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে তেমনি জনদুর্ভোগ আরও বাড়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

বেনাপোল থেকে রাজশাহীগামী ট্রাক চালক শরিফ জানান, রাতে মালবাহী ট্রাক নিয়ে যেতে খুব সমস্যা হয়। ৮-১০ কিলোমিটার যানজট থাকে। এক সাইড দিয়ে কালভার্ট পার হওয়ার পথটিও ভালো না। অনেক সময় সেখানে ট্রাকের পাতি ভেঙে যায়।

অপর এক বাস চালক মারুফ আহম্মেদে বলেন, কালভাটটির জন্য দীর্ঘ সময় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি না। তিনি বলেন, ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করে না। তারা সঠিকভাবে কাজ করলে আমাদের এত সমস্যা হতো না। তারা সাইডে একটি রাস্তা করে দিতে পারতো তাও করেনি। যার ফলে সমস্যা বেড়েই চলেছে।

কাজের ঠিকাদার রেজাউল ইসলাম জানান, কাজে কোনো ধীর গতি নেই। ২৭ জন শ্রমিক কাজ করছে। আসলে কালভার্টের আগে যে পিলার ছিল তা ভাঙকে একটু সময় লেগে যাচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ নিয়ে তিনিও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার জন্য জনবল আরও বাড়ানো হবে। মনে হচ্ছে না কাজে ধীর গতি।