বিনা ভাড়ায় রংপুর থেকে হাড়িভাঙা আম ঢাকায় আনছে ডাক অধিদফতর


মিঠাপুকুরের প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত ঐতিহ্যবাহী হাড়িভাঙা আম বিনা ভাড়ায় রাজধানীর পাইকারি বাজারে পরিবহন শুরু করেছে ডাক অধিদফতর। একই সঙ্গে বিআরটিসি সামান্য ভাড়ার বিনিময়ে মিঠাপুকুরের আম পরিবহন কার্যক্রম চালু করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশে বিনা মাশুলে এই সেবাটি চালু করা হয়। ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এসব মৌসুমি ফল রাজধানীর বিভিন্ন মেগাশপ ও পাইকারি বাজারে বিপণন করা হবে। বিক্রয়লব্ধ টাকা কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কৃষকের হাতে পৌঁছে যাবে। দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে নিয়োজিত ঢাকাফেরত গাড়িতে বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকের পণ্য পরিবহনে সরকারের বাড়তি কোনো খরচেরও প্রয়োজন হবে না।

বুধবার (১ জুলাই) মোস্তাফা জব্বার ঢাকায় তার দফতর থেকে জুম ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে বিনা মাশুলে রাজধানীতে মৌসুমি ফল পরিবহন সেবা উদ্বোধন করেন। রংপুর জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এস এস ভদ্র, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ, বিশিষ্ট তরুণ নেতা আশেক রহমান, ডাক বিভাগের পরিচালক অসিত কুমার, মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূঁইয়া এবং কৃষক প্রতিনিধি মতিনুর রহমান সরকার অনুষ্ঠানে সংযু্ক্ত থেকে বক্তৃতা দেন। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তির নাম কৃষক। করোনাকালে প্রান্তিক কৃষকের পাশে দাঁড়ানো ঐতিহাসিক দুঃসাহসিক কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় মানিকগঞ্জ জেলার ঝিটকা থেকে আমরা প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিনা ভাড়ায় পরিবহনের কাজটি শুরু করেছি। কোভিড-১৯ এ সৃষ্ট বৈশ্বিক এই সংকটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহ সহজতর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার গত ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবা চালু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে পেনশনভোগীরা যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য করোনাকালে দেশের সব ডাকঘর আমরা চালু রেখেছি। হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ডাকঘরকে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত করা হয়। প্রান্তিক কৃষকদের বিনা ভাড়ায় পণ্য পরিবহনের বর্তমান এ ব্যবস্থাটি আপদকালীন, তবে আমরা এটি স্থায়ী পদ্ধতিতে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা কৃষকের পণ্য মাশুল ছাড়া পরিবহনের যে যাত্রাটি শুরু করেছি তা অব্যাহত রাখব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনের যেকোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। ডিজিটাল বাংলাদেশ অনেক প্রসারিত হয়েছে।’ জনগণকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে শিক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

এইচ এন আশিকুর রহমান ডাকঘরকে কৃষকবান্ধব করার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে অধিকতর সম্পৃক্ত করার জন্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর উদ্যোগকে একটি যুগান্তকারী কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *