বিশ্বকাপে পেসারদের সাহায্য করাই হবে স্পিনারদের মূল কাজ : মিরাজ


ক্রীড়া ডেস্ক :: বর্তমান সময়ে যেকোনো আইসিসি ইভেন্টে রানবন্যার আশায় উইকেট বানানো হয় ব্যাটিং সহায়ক করে। যেখানে বোলারদের তেমন কিছুই করার থাকে না, ব্যাটসম্যানরা ব্যাট ঘোরাতে পারেন ইচ্ছে মতো। তবু উপমহাদেশের বাইরে খেলা হলে পেসারদের জন্য কিছুটা হলেও থাকে উইকেটে, স্পিনাররা হয়ে পড়েন অবহেলিত।

ইংল্যান্ডে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দেখা যেতে পারে একই চিত্র। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যার উজ্জ্বল উদাহরণ। তাই বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে পেসারদের কাজে সাহায্য করাই হবে স্পিনারদের মূল কাজ- এমনটা মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।

আজ (রোববার) মিরপুরের একাডেমী মাঠে আবাহনীর হয়ে অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় স্পিনারদের রানটা চেক দেয়া খুব জরুরী হবে। কারণ ওইসব দেশে কিন্তু স্পিনাররা বেশী সাহায্য পাবে না। উইকেট না বের করতে পারলেও ইকোনমিকাল বোলিং করতে হবে।’

মিরাজের মতে ওভার প্রতি পাঁচ করে রান দিলেও সেটা ভালো বোলিং হিসেবেই বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ওভার প্রতি পাঁচ সাড়ে পাঁচ করে রান দিলে সেটা অনেক ভালো বোলিং ফিগার হবে। এর মধ্যে ২/১টা উইকেট নিতে পারলে তো অনেক ভালো। আসল কথা এটাই যে পেসারদের সাহায্য করা রান কম দেয়া স্পিনারদের মূল ভূমিকা থাকবে বিশ্বকাপে।’

এসময় বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সম্পর্কে মিরাজ বলেন, ‘সামনে আমাদের আয়ারল্যান্ড সিরিজ আছে। এরপর আমরা বিশ্বকাপ খেলতে যাবো। আমার কাছে মনে হয় প্রিমিয়ার লিগ চলাকালীন যে এক মাস সময় পাবো এই সময়ের মধ্যেই নিজেদেরকে গুছিয়ে নিতে হবে কারণ আমাদের হাতে ওইরকম সময় নেই। ওইরকম সময় পাবোও না, প্রিমিয়ার লীগের ফাঁকে ফাঁকে যতটুক প্রতুতি নেয়া সম্ভব ততটুকই নিব।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের স্পিনারদের যে দায়িত্ব সেটা হলো পেসারদের সহযোগিতা করা। কারণ উপমহাদেশে খেলা হলে স্পিনারদের ভূমিকাটা বেশী থাকতো। কিন্তু ইংল্যান্ডে পেসারদের সাপোর্ট করতে হবে। এই কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলে আমাদের টিম আরও ভালো করবে।’

আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো করতে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা জানান মিরাজ। ভালো জায়গায় বল করতে পারলে ব্যাটিং উইকেটেও সমীহ আদায় করা সম্ভব বলে মনে করেন ২১ বছর বয়সী এ তরুণ।

তাই তো মুখে এমন কথা, ‘ইংল্যান্ডে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছি, সেখানে দলের সঙ্গে আমিও ছিলাম। যদিও একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল। উইকেট খুব কাছ থেকেই দেখেছি, অনেক ভালো উইকেট থাকে। আমি যদি চেষ্টা করি ভালো জায়গায় বোলিং করার তাহলে ব্যাটসম্যান অনেক সময় ভুল করে বসতে পারে।’

মিরাজের শেষ কথা, ‘ওইখানে তেমন স্পিন থাকবে না, সুন্দর ভাবে বল ব্যাটে আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে হবে সেটা নিয়েই এখন থেকে কাজ করবো। কিভাবে পরিপলনা সেখানে বাস্তবায়ন করা যায়। আশা করি সবাই মিলে একসাথে করলে ভালো কিছুই হবে।’