অবশেষে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে পর্দা নেমেছে সুদীর্ঘ ক্রিকেট বিশ্বকাপের। ২০১৯ বিশ্বকাপে অংশ্রহণকারী দলগুলোকে সর্বমোট ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি দিয়েছে আইসিসি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৪ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড পেয়েছে ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৩ কোটি ৭৮ লাখ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে চ্যাম্পিয়নদের এবারই সর্বোচ্চ প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে। রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড পেয়েছে চ্যাম্পিয়নদের অর্ধেক, ২০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
এবারের বিশ্বকাপে শেষ চারে খেলা ভারত-অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৮ লাখ ডলার করে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলগুলোকে ১ লাখ ডলার করে (প্রায় ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছে। আর রাউন্ড রবিনে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা)।
সেই হিসেব অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রাইজমানি ছাড়াও রাউন্ড রবিনে ৬ ম্যাচ জয়ের জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার (মোট ৪২ লাখ ৪০ হাজার ডলার) পেয়েছে ইংল্যান্ড। আর ৫ ম্যাচ জয়ের জন্য রানার্প-আপ নিউজিল্যান্ড পেয়েছে ২ লাখ ডলার (মোট ২২ লাখ)।
এদিকে সমান ৭ জয় ও সেমিফাইনালের প্রাইজমানি মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া-ভারত পেয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ডলার (প্রায় ৯ কোটি ১২ লাখ টাকা)।
তাছাড়া তিন জয় ও অংশগ্রহণ মিলিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৪ শত ৪০ টাকা। রাউন্ড রবিনে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থান দখল করে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে টাইগাররা।
বাংলাদেশের সমান অংকের প্রাইজমানি পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগারদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় প্রোটিয়ারা।
অন্যদিকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে থাকলেও বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার সমান প্রাইজমানি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারা জিতেছে ৩টি ম্যাচ। তবে বৃষ্টির কারণে দুই ম্যাচ বাতিল হওয়াতে ২ পয়েন্ট পায় তারা।
তাছাড়া ৫ জয় নিয়ে পাকিস্তান পেয়েছে ৩ লাখ ডলার। আর দুই জয় নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা)। এছাড়া একটি ম্যাচে জয় না পেলেও খালি হাতে ফেরেনি আফগানিস্তান। রশিদ-নবীরা পেয়েছেন অংশগ্রহণের ১ লাখ ডলার।