বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ তকমাটা বেশ ভালোভাবেই বসেছে তার নামের পাশে। সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে লাগাম টেনে ধরলেও, এর আগে অবাধ ও উদ্দাম জীবনযাপনের কারণে সমালোচনার শিকার হয়েছেন অনেকবার। তবে সে সব থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সাব্বির রহমানের নিজের ভাষায় হয়েছে ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় জন্মটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হার্ডহিটার সাব্বির রহমান। জানুয়ারিতে বিপিএলে ভালো পারফরম্যান্সের পর, নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে হাঁকিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। সে সফরে ভালো করতে না পারলে হয়তো পাওয়া হতো না বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ।
মূলতঃ দলে সাত নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবেই সুযোগ পেয়েছেন সাব্বির রহমান। ওই পজিশনে একজন মারকুটে এবং ফিনিশারের খুব প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন থেকেই দলে চলে এলেন সাব্বির। সেই সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ডানহাতি এ মারকুটে ব্যাটসম্যান। পরম সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানিয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখার, দলের চাহিদা মিটিয়ে ব্যাটিং করার।
‘গত নিউজিল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পাওয়ার পর খুব ভালো লেগেছে। আল্লাহ্র কাছে শুকরিয়া যে সুযোগটা আমি কাজে লাগাতে পেরেছি এবং ভালো করেছি। সবকিছু মিলিয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজটা আমার পূনর্জন্ম বলতে পারেন’- বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে এভাবেই বলছিলেন সাব্বির।
সাধারণত ব্যাটিং করেন নিচের দিকে, সেখানে নেমে বড় ইনিংস খেলার চেয়ে তার প্রতি দলের চাহিদা থাকে অল্প বলে কিছু দ্রুত রান করে দেয়ার। সাব্বিরও বুঝতে পেরেছেন সেটি, বিশ্বকাপে নিজের লক্ষ্য-পরিকল্পনাও তাই ঠিক করেছেন সেভাবেই, প্রস্তুত হয়েছেন দলের চাহিদা পূরণের জন্য।
‘বিশ্বকাপের ব্যাপারে আমার পরিকল্পনা হলো, আমি যে জায়গায় নামবো, সে জায়গা থেকে যদি ফিনিশ করে আসতে পারি তাহলে ভালো, আমার জন্য ভালো হবে, দলের জন্যও অবশ্যই ভালো হবে। আমি চেষ্টা করেছি প্রিমিয়ার লিগের কিছু ম্যাচ দিয়ে এ অনুশীলনটা করে রাখতে।
আমার চেষ্টা থাকবে শেষপর্যন্ত লড়াই করে যাওয়ার। আমি লড়াই করতে পছন্দ করি, নিজের সঙ্গে হোক বা বোলারের সঙ্গে হোক। লড়াই ছাড়া কিছু দিতে রাজি নই আমি। আমাদের দিক থেকে শতভাগ দেওয়ার ইচ্ছা থাকবে। সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করব। চেষ্টা থাকবে, বিশ্বকাপে দলের জন্য যেন একজন সত্যিকার ফিনিশার হয়ে উঠতে পারি।’