‘ব্যাংক লুটকারীদের বিরুদ্ধে নয়, মামলা শুধু কৃষকের বিরুদ্ধে’


ডেস্ক রিপোর্ট :: এদেশে ব্যাংক লুটকারীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয় না, মামলা শুধু কৃষকের বিরুদ্ধে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতে বাজেটের ৪০ শতাংশ বরাদ্দ ও ধানসহ কৃষি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাইফুল হক বলেন, ‘পাঁচশ কোটি টাকা ঋণের জন্য দেশের এক লাখ ৬৮ হাজার কৃষকের নামে মামলা করেছে সরকার। তারা বলে, দেশে না কি আইনের শাসন আছে। ব্যাংকগুলো প্রতি বছর লক্ষ কোটি টাকা চুরি করছে, ডাকাতি করছে ও বিদেশে পাচার করছে। কিন্তু এদের কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, মামলা শুধু কৃষকের বিরুদ্ধে।’

তিনি কৃষকদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা দ্রুত বন্ধ ও গ্রামের ক্ষেতমজুরদের রেশনের আওতায় আনার দাবি জানান।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে কৃষকরা যদি না বাঁচে, তাহলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। এ কথাটা সরকার বোঝে না। এখন তো আর ভোটের দরকার নেই। ৩০ ডিসেম্বর আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের ভোট তারা ২৯ ডিসেম্বর রাতেই দিয়ে ফেলেছে। এ সরকার এতটা নির্লজ্জ, একটা ভোটারবিহীন নির্বাচনে মানুষ না কি তাদের সুনামির মতো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের লংমার্চ ভারতের রাজনীতির চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। আমরাও তাই করবো। বাংলাদেশে দরকার হলে আমরা টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত লংমার্চ করব।’

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, বাংলাদেশ কৃষক ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড অধ্যাপক আব্দুল সাত্তার, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুজ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে তারা স্মারকলিপি দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সচিবালয়ের সামনে পুলিশের বাধার মুখে তারা রাস্তায় অবস্থান নেন। পরে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যায়।