ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ

banglashangbad

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কটূক্তি করার অভিযোগে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ভাষানটেক থানার পুলিশ পরিদর্শক প্রতিবেদন দাখিল না করায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২২ জুলাই বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে গৌতম কুমার এডবর নামে রাজধানীর ভাষানটেকের এক সমাজসেবক মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ভাষানটেক থানার পুলিশ পরিদর্শককে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই ব্যারিস্টার সুমন ফেসবুকে লেখেন, পৃথিবীর মধ্যে নিকৃষ্ট এবং বর্বর জাতি হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী, যাদের ধর্মের কোনো ভিত্তি নেই। মনগড়া বানানো ধর্ম। হয়তো দু-একটি খবর নিউজে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া আরও অনেক ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়, তাদের নৃশংসতার আড়ালে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সনাতন ধর্ম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মিথ্যা, অশ্লীল চরম আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ফলে হিন্দু সমাজ তথা গোটা জাতির মধ্যে এ বিষয় নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আসামির এ রকম আচরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অশ্লীল অবমাননাকর ও অরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ফলে রাষ্ট্র ও হিন্দু সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। আসামির এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলে সাধারণ জনগণ নীতিভ্রষ্ট, অসৎ হইতে উদ্ধত হওয়ার ফলে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

কিন্তু এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সুমন আগে থেকেই বলে আসছেন তার এ ফেসবুক আইডিটি ফেক। গত ২০ জুলাই তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে একটি ফেক পেজ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। আমি এ বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। আপনারা সচেতন থাকবেন। এটাই আমার একমাত্র পেজ, যার ফলোয়ার ২০ লাখের অধিক।’