মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অপহরণের এক মাস ২৩ দিন পর অপহৃত এক স্কুল ছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোররাতে চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহণরকারী নাঈমুর রহমান রাজুকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহণরকারী নাঈমুর রহমান রাজু উপজেলার গাংকুল গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার হরিপুর গ্রামে। তিনি গাংকুল পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রী স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় গ্রাংকুল গ্রামের বখাটে নাঈমুর রহমান রাজু তাকে প্রায়ই উত্যক্ত করতেন। রাজু তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজু তাকে অপহরণের হুমকি দেন। তিনি (স্কুলছাত্রী) বিষয়টি তার পরিবারকে জানান। পরে তার পরিবারের সদস্যরা রাজুকে ডেকে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। এদিকে গত বছরের ০৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওই ছাত্রী স্কুলে যচ্ছিলেন। এসময় আগে থেকে গাংকুল এলাকায় ওত পেতে থাকা রাজু ও তার সহযোগিরা ছাত্রীকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার ১৫ দিন পর গত ২৩ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে নাঈমুর রহমান রাজুকে আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোররাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেন এবং অপহণরকারী রাজুকে গ্রেফতার করা হয়।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস শুক্রবার রাতে বলেন, শনিবার (আজ) স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং আসামি রাজুকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।