মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আহত মাহবুব আহমদ (২৫) নামে এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল এগারোটায় উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের টেকাহালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মাহবুব আহমদের নানা জুনাব আলী শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে আয়নুল হকসহ ৯জনের নামোল্লেখ এবং আরও ১০-১২জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের টেকাহালি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মাহবুব আহমদের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মৃত মুবাশ্বিরের ছেলে আয়নুল হকের বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলছে। এরই জের ধরে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে আয়নুল হকের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি মাহবুব আহমদের বাড়িতে ঢুকে তাঁর ওপর হামলা চালান। এসময় আয়নুল হক মাহবুবকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় কোপ দেন। এসময় আয়নুলের সহযোগিরা মাহবুবকে ছুরি দিয়ে পেটে পোঁচ দেন এবং ব্যাপক মারধর করেন। মাহবুবকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হামলাকারিরা মাহফুজ আহমদ ও কাইয়ুম আহমদকেও মারধর করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হামলাকারি আয়নুল হক, আব্দুর রুপ ও আবু আহমদকেও মারধর করেন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে মাহবুব আহমদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকৎসক তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রুপ ও আবু আহমদকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস শুক্রবার রাত নয়টায় বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে মারামারি হয়েছে। পুলিশ আব্দুর রুপ ও আবু আহমদকে আটক করেছে। পুলিশি প্রহরায় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।