বাংলা সংবাদ ডেস্ক:
দেশে ফেরার ছাড়পত্র পেলেন প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি নাগরিক। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন কলকাতা অফিস থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হলো যা নিয়ে তারা দেশে ফিরতে পারবেন।
কলকাতার সার্কাস এভিনিউ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসের সামনে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনা পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত বাংলাদেশিরা যাদের অনেকেই গতকাল পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে দেশে ফিরতে পারেননি, লাইন দিয়েছিলেন সকাল থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে।
ভারতে করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রেক্ষিতে গতকাল থেকে ১৪ দিনের জন্য সীমান্তের সব স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার ফলে এক অভূতপূর্ব অনিশ্চিয়তার সম্মুখীন হয়ে পড়েন ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশের মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে মানবিক কারণে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন সিদ্ধান্তে কিছুটা বদল করেন। ভারতে চিকিৎসার কারণে যারা এসেছিলেন তাদেরকে কভিড নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলে মঙ্গলবার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
ফরিদপুরের মহিউদ্দিন মোল্লা গতকাল পেট্রাপোল গিয়েও বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি। গতকাল রাতেই বনগাঁ থেকে শেষ ট্রেন ধরে কলকাতা চলে আসেন তিনি আর মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন।
আমি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়ে গেছি… আশা করি দেশে ফিরতে পারব বলেন মহিউদ্দিন তিনি নিজের স্ত্রী সালমা বেগমের অপারেশনের জন্য ভারতে এসেছিলেন।
একই কথা বললেন, ঢাকার নিশাত সুমি যিনি নিজের মায়ের সার্জারির জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। আজকের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে উনাকে অনেক নিশ্চিন্ত দেখাচ্ছিল।
যদিও মঙ্গলবার প্রায় ৩০০ জন দেশে ফেরার ছাড়পত্র পেয়েছে। ভারতে এখনো আটকে আছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি… তারাও ব্যবসার কাজে বা পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন।
যাদের দীর্ঘদিনের ভিসা আছে তাদের এখনো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ার কারণে তারা ভুগছেন অনিশ্চিয়তায়।
ঢাকার ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ভারতে আসেন এবং বনগাঁ একটি হোটেলে থাকছেন। তার ভিসার মেয়াদ এখনই শেষ হচ্ছে না আর তাই তিনি জানেন যে এখনই দেশে ফেরা সম্ভব নয় উনার পক্ষে।
‘আমি জানি যে, আমাকে অন্তত আরো ১৩ দিন অপেক্ষা করতে হবে, তারপরে কি পরিস্থিতি হয় তা দেখে সিদ্ধান্ত নেব’ বলেন ফরিদ সাহেব।