দেশ হবে সবুজ শ্যামল, প্রকৃতি ফিরে পাবে তার হারানো অতীত। এমন আশা আর প্রত্যয় নিয়ে ভূমিসন্তান বাংলাদেশ শেষ করেছে তাদের বৃক্ষভিক্ষা কর্মসূচি। সমাপনি উপলক্ষে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বৃক্ষভিক্ষার জন্য তাদের নির্ধারিত স্টলে সংক্ষিপ্ত এক আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংগঠনের সমন্বয়ক আশরাফুল কবিরের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাধিকার (সিকৃবি) এর রেসকিউ টিম লিডার মো. মুজাহিদুল ইসলাম, গ্রিন এক্সপ্রেস সোসাইটি (শাবিপ্রবি) এর সভাপতি মো. হাসনাইন আহমেদ, সিলেট নার্সারি মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আহমদ।
এসময় বক্তারা ভূমিসন্তানকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণতার সময়ে ভূমিসন্তান বাংলাদেশ বৃক্ষভিক্ষার যে কর্মসূচি পালন করেছে তা সবার জন্য অনুসরনীয়। এর মাধ্যমে মানুষের বৃক্ষরোপণের অভ্যাস তৈরি হবে। দেশ ফিরে পাবে তার হারিয়ে যাওয়া সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি।”
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের এ কর্মসূচির শুরু থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। এজন্য আমি ভূমিসন্তানের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সাথে সকলে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে দেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার অনুরোধ জানান।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “বৃক্ষের কাছে আমাদের যে ঋণ তা কখনো শোধ করার নয়। জীবনের জন্য বৃক্ষের প্রয়োজন। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে বৃক্ষরোপণ করি।”
বিমান তালুকদারের সঞ্চালনায় সমাপনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভূমিসন্তান বাংলাদেশ এর সংগঠক বিপ্লব দেব, মাহাবুব আলম তালুকদার, শাকিল আহমদ সোহাগ।
আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমিসন্তান বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী রিপন চৌধুরী, কবি মেঘদাদ মেঘ, মামুন হোসেন, শিল্পী দেব, আমির আলী, মলয় নয়ন ধর, শামীম হোসাইন, মাহবুব হাসান রাসেল, জাহাঙ্গীর আহমদ প্রমুখ।
এর আগে গত ২০ জুলাই সিলেটের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেটের বনবিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে শুরু হয় বৃক্ষ মেলা। মেলার নির্ধারিত সময় শেষ হয় গত ৩ আগস্ট। পরে আরও ২ দিন সময় বাড়িয়ে মেলা চলে ৫ আগস্ট সোমবার রাত ৮ টা পর্যন্ত। এ মেলায় গত ১ আগস্ট থেকে বৃক্ষভিক্ষার জন্য একটি স্টল বসায় ভূমিসন্তান বাংলাদেশ।
এ স্টলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পক্ষ থেকে দেয়া হয় বৃক্ষভিক্ষা। শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৭ শত ১৬টি বৃক্ষের চারা ভিক্ষা পায় সংগঠনটি। এসব চারা আপাতত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি বিভাগের নিজস্ব নার্সারিতে রাখা হয়েছে। যা সুবিধামত সময়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোপণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ভূমিসন্তান বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ২০১৪ সালে বৃক্ষভিক্ষা কর্মসূচি পালন করেছিল। সে সময়ে ব্যাপক সাড়া পায় সংগঠনের এই বৃক্ষভিক্ষা কর্মসূচিটি। মাঝখানে কিছুদিন বিরতির পর আবার এ কর্মসূচি চালু করেছে সংগঠনটি।