মনের জোরে এগিয়ে যাচ্ছি : এরশাদ


ডেস্ক রিপোর্ট :: আমার মতো অত্যাচারিত ও নির্যাতিত নেতা আর কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-১ সার্কেলের ইমানুয়েলস মিলনায়তনে এরশাদের ৯০তম জন্মদিনে কেক কাটেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় এরশাদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলাম, কেউ পাশে ছিল না। শত অত্যাচার আমাদের দমাতে পারেনি। শুধু মনের জোরে এগিয়ে চলছি, শত ষড়যন্ত্র আমাদের ধংস করতে পারেনি।’

জাতীয় পার্টির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবিচার আর অত্যাচারে যে দল ভেঙে পড়ে না, সে দলকে কেউই ধ্বংস করতে পারবে না। নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদলীয় এ নেতা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করে তোলো, যাতে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে পারে।’

এর আগে আনন্দঘন পরিবেশে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ এমপি বলেন, ‘সবাই পার্টির চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করুন, যাতে তিনি সুস্থ হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন।’ বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯ বছরে উন্নয়নের যে রেকর্ড গড়েছেন তা কেউ ভাঙতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশটি গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় বঙ্গবন্ধু পাননি। কিন্তু দেশ গড়ার জন্য এরশাদের অসংখ্য কীর্তি অক্ষয় হয়ে আছে।’

নেতাকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, ‘সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) পল্লীবন্ধুর কখনোই ভুল চিকিৎসা হয়নি। সিএমএইচে কখনোই ভুল চিকিৎসা হতে পারে না।’

অনুষ্ঠানে পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেন, ‘আজ শপথ নেয়ার দিন। আমরা শপথ নিচ্ছি, নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই। জাতীয় পার্টি এরশাদের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে। জিএম কাদের পার্টি চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধুর জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।’

সকাল থেকে নেতাকর্মীরা স্লোগানে উৎসবমুখর করে তোলে গুলশান-১ সার্কেলের ইমানুয়েলস মিলনায়তন। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল ও কেক নিয়ে হাজির হন আনন্দঘন পরিবেশে। দুপুর ১২টার দিকে এরশাদ মিলনায়তনে পৌঁছালে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

তার সঙ্গে মিলনায়তনে প্রবেশ করেন ছোট ভাই পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি। এর আগেই পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশান এরশাদ এমপি সভাস্থলে পৌঁছেন। ১২টার পর ৯০ পাউন্ডের কেক কেটে নিজের জন্মদিনের উৎসবের সূচনা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, মাসুদা এম. রশিদ চৌধুরী এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মো. আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর অব. মো. খালেদ আখতার, লেঃ জেঃ (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলহাজ্ব মো. মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা- ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী।

রওশন আরা মান্নান এমপি, নাজমা আখতার এমপি, অ্যাড. আজাহার উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান- অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, মো. আরিফুর রহমান খান, আলমগীর সিকদার লোটন, নুরুল ইসলাম নুরু, সরদার শাহজাহান, এমরান হোসেন মিয়া, আবু বক্কর, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, নুরুল ইসলাম ওমর, আশরাফ সিদ্দিকী, শেখ আলমগীর হোসেন, ইয়াহইয়া চৌধুরী, জহিরুল আলম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামসুল হক, সুলতান আহমেদ সেলিম, আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু, ইসহাক ভূঁইয়া, মো. জসীম উদ্দিন, মুনিম চৌধুরী বাবু, মো. হেলাল উদ্দিন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন- মো. নাসির উদ্দিন, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য- সুলতান মাহমুদ, মো. বেলাল হোসেন, অনন্যা হুসাইন মৌসুমী, আনিসুর রহমান খোকন, অ্যাড. লাকী বেগম, এম.এ. রাজ্জাক খান, শারমিন পারভিন লিজা, গোলাম মোস্তফা, হুমায়ন খান, লিয়াকত চাকলাদার, এটিইউ আহাদ চৌধুরী, কাজী আবুল খায়ের, সুমন আশরাফ, আবু সাঈদ স্বপন, মোস্তফা কামাল, ক্বারী হাফেজ ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা- মাহমুদ আলম, মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, সাজ্জাদ পারভেজ চৌধুরী, বাহাদুর ইমতিয়াজ, মো. নাজমুল খান, হাসান মঞ্জুর, মিজানুর রহমান দুলাল, জাকির হোসেন মৃধা, মামুনুর রহমান, তাসলিম আক্তার রুনা, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, মোতাহার হোসেন মানিক, ফারুক আহমেদ, দ্বীন ইসলাম শেখ, সুলেমান সামী, শফিকুল ইসলাম দুলাল, আবুল কাশেম, মোস্তফা আল মাহমুদ।