মহাকাশ অভিযানে আসছে ‘স্বাবলম্বী’ ড্রোন


 ডেস্ক রিপোর্ট :: একঝাঁক ড্রোনের জন্য কৃত্রিম ও স্বতন্ত্র বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টি করেছেন কানাডার মিস্ট ল্যাবের জোভানি বেলট্রাম ও তার সহকর্মীরা। ভবিষ্যতে গ্রহান্তরের অভিযানে স্বাধীন রোবটের ঝাঁক গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য।

নানা ধরনের রোবট নিয়ে একঝাঁক গড়া হবে। উড়ন্ত রোবট, জমিতে চলমান রোবট, লাফ মারতে পারে এমন রোবট – তারা সবাই একই ভাষায় স্বতন্ত্রভাবে পরস্পরের সঙ্গে সংলাপ চালাবে। চাঁদ অথবা অন্য গ্রহের বুকে রোবটের ঝাঁক অনুসন্ধান চালাতে পারবে। সেটাই গবেষক দলের লক্ষ্য।

জোভানি বেলট্রাম বলেন, ‘চাঁদের বুকে রোভার বা লম্ফঝম্প করে এমন রোবট আশা করছি। দুর্বল মাধ্যাকর্ষণের কল্যাণে চাঁদে লাফানোর কাজ বেশ সহজ। মঙ্গলগ্রহে বায়ুমণ্ডল থাকায় কপ্টার ব্যবহার করা যেতে পারে।’

পরীক্ষার সময় ড্রোনগুলো একজন মানুষের কাছ থেকেই নির্দেশ পাচ্ছে। মানুষ কীভাবে রোবটগুলোর সঙ্গে সংলাপ চালাতে পারে, সেই পরীক্ষা এ ক্ষেত্রে জরুরি।

গবেষকদল সেই মানুষের চোখের পাতার সঞ্চালনের ওপর নজর রাখছে। রোবট চালানোর আদর্শ পদ্ধতিরও খোঁজ চলছে। চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহে ভবিষ্যৎ অভিযানে কোনো মহাকাশচারী নির্দেশ দেবেন। রোবটের ঝাঁক সেই নির্দেশ পালন করবে। জোভানি বেলট্রাম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, মঙ্গলগ্রহে গিয়ে সেখানে ছোট উড়ন্ত রোবট-বোঝাই একটি রোভার ছেড়ে দেয়া হবে। সেগুলো চারদিকে উড়ে বেড়িয়ে রোভারকে তথ্য দেবে। তার ভিত্তিতে গন্তব্য স্থির করে রোভার এগিয়ে যাবে।’

এ পরীক্ষামূলক ক্ষেত্রে রোবটের ঝাঁক ও মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ভালোভাবেই সম্ভব হচ্ছে। ব্যাটারি শেষ হলেই ড্রোনগুলো এমনিতেই ফিরে আসে।

জোভানি বলছিলেন, ‘এসব ড্রোন সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে এবং পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সমন্বয় করে।নিজেদের মধ্যে সংলাপ চালিয়ে তারা কাজ স্থির করে।’

তিনি বলেন, ‘নিজেদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা অনুযায়ী রোবটগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোনো রোবট যদি হাই ডেফিনিশন ছবি তুলতে পারে, তখন সেটি সেই বিশেষ দায়িত্ব নিতে চাইবে। কিন্তু সেই ইচ্ছা অনেকটা নিলামের দর হাঁকার মতো। সে ১০০’ টাকা দর হাঁকবে৷ বাকি রোবটদের সেই ক্ষমতা না থাকায় তারা এত বড় অঙ্কের দাও লাগাতে পারবে না। শেষ পর্যন্ত যে রোবট সবচেয়ে বেশি দর হাঁকবে, সেই দায়িত্ব পাবে।’

সূত্র : ডয়েচে ভেলে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *