মানবপাচার রোধে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ : মার্কিন প্রতিবেদন


মানবপাচার সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেশগুলোর র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ উন্নতি করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও তার কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প।

গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। যার কারণ হিসেবে বলা হয় অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশে বিভিন্ন মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশিদের জড়িত থাকা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া।

লিবিয়ায় ৩০ জন বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় বড় ধরনের অভিযানে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি উঠে আসে প্রতিবেদনটিতে। তবে রোহিঙ্গাদের পাচার নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন তদন্তের আহবান করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, নৌকা বোঝাই করে মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গা পাচার ও মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করা অনেক শরণার্থীকে জিম্মি করা হচ্ছে এবং তাদের আত্মীয়দের মুক্তপণ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

আগের তুলনায় এবার অবস্থা পাল্টানোয় বাংলাদেশের র‌্যাংকিংয়ের উন্নতি হয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তার ২০২০ সালের ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) প্রতিবেদনে এ বছর মানবপাচার রোধে বাংলাদেশের উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়। সেগুলো হচ্ছে প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে কমপক্ষে  ৪ হাজার ৪০৭টি মানবপাচারে মামলা ছিল। যা ২০১৯ সালের শেষের দিকে তদন্ত বা বিচারের বিচারাধীন ছিল এবং দণ্ডিত হওয়ার হার ১.৭ শতাংশ। ২০১৮ সালে মোট মামলা হয় ৫৪৭টি আর পরের বছর মামলা হয় ৬৪৪টি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *