মার্কিন অভিনেত্রী লরি লাফলিন
মার্কিন অভিনেত্রী লরি লাফলিন দুইমাস কারা ভোগের পর গত ২৮ ডিসেম্বর ফেডারেল কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।তিনি তার দুই মেয়েকে ভালো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করার উদ্দেশ্যে পাঁচ লাখ ডলার ঘুষ দেয়ার অপরাধে দুইমাস কারাভোগ করেন।
এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) সুত্রে এ খবর জানা গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডাবলিনের ফেডারেল লকআপ থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। গত মে মাসে তিনি স্বীকার করেন যে তার দুই মেয়েকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং পাঁচ লাখ ডলার ঘুষের বিনিময়ে ইউনিভর্সিটি অব সাউদার্ন ক্যলিফোর্নিয়ায় ভর্তি করিয়েছিলেন।
ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনস সুত্রে জানা গেছে, একই অপরাধে তার স্বামী ফ্যাশন ডিজাইনার মোসিমো জিয়ান্নুলি ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারার কাছে লম্পক কারাগারে পাঁচ মাসের কারাদন্ড ভোগ করছেন। তিনি আগামী বছরের ১৭ এপ্রিল মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, তার আরো কঠোর শাস্তি হওয়ার প্রাপ্য ছিল কারণ তিনি এই প্রক্রিয়ার মূল হোতা ছিলেন।
লাফলিনকে মুক্তির পর দুই বছর তদারকীতে(supervised release) কাটাতে হবে, ১০০ ঘন্টা কমুনিটি সার্ভিস দিতে হবে এবং ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে, স্বামী মোসিমো জিয়ান্নুলিকে মুক্তির পর দুই বছর তদারকীতে কাটাতে হবে, ২৫০ ঘন্টা কমুউনিটি সার্ভিস দিতে হবে এবং ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছিল। এই জালিয়াতির ঘটনায় দেখা গেছে কিছু কিছু ধনী মা বাবা তাদের সন্তানদের ভাল ইউনিভার্সিতে ভর্তি করার জন্য বাচ্চাদের ভূয়া অ্যাথলেটিক শংসাপত্র, প্রতারণামূলক পরিক্ষার ফল (স্কোর), জাল দাতব্য প্রতিষ্টানের সার্টিফিকেটসহ ঘুষ প্রদান করে থাকেন।
গত বছর গ্রেফতার হওয়ার পর আগষ্টে সাজা শুনানির পর তারা দুজনে এই মামলা সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন। তাদের ছোট মেয়ে অলিভিয়া জাদে যিনি ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় একজন জনপ্রিয় প্রভাবশালী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত চলতি মাসে এই কেলেংকারী নিয়ে প্রথম “রেড টেবিল টক” সিরিজে প্রকাশ্যে মন্তবা করেন, তিনি বলেন ‘আমি কারো করুণা চাই না’।তিনি বলেন, আমরা একটা বিশৃঙ্খলার (messed) মধ্যে পড়ে গেছি, আমি দ্বিতীয় বারের মতো একটা সুযোগ চাই।
এতদিন আইনি জটিলতার জন্যে কিছু বলতে পারছিলাম না। উল্লেখ্য এই মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ৬০ জন অভিভাবক, কোচ এবং ১২ জনেরও বেশী মানুষ এখনো অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। “ফুল হাউস” নামক একটি টিভি সিরিজে অভিনয় করে লরি লাফলিন জনপ্রিয় হন।