উৎসবশেষে সুতোকাটা ঘুড়ির ঠিকানা বাতাসও জানে না।’ কয়েকদিন থেকে মাশরাফিকে নিয়ে, এমনকি আমার পরিচিতজনদের স্ট্যাটাসেও, যা সব লেখা পড়ছি!
মাশরাফি বাংলাদেশের ক্রিকেট অধিনায়ক পদকে অন্য সবার জন্য কঠিন করে দিয়ে গেছেন। একটা ম্যাচে জেতা এক বিষয়, আর একটা জাতিকে জেতার স্বপ্নে উন্নীত করে এবং নিজের সবটুকু নিংড়ে দিয়ে সেই প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেয়ার পার্থক্য ইন্সট্যান্ট কফি যুগের মানুষেরা না বুঝলে মাশরাফির কী-ই বা আসে যায়। কিছু খেলার রি-প্লে দেখছিলাম। এই লম্বা ছেলেটা যখন খেলার মাঠে থাকে, দেখে মনে হয় তার দুই বাহুর মধ্যে, সমস্ত অবয়বের মধ্যে, হাসির এবং ক্রোধের বরাভয়ের মধ্যে শুধু দলকেই নয়, বাংলাদেশকে আগলে রাখে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলটা একটা অহংকারের ব্রান্ড হয়ে ওঠে। আমার সুন্দরবনের কথা মনে হয়, কক্সবাজারে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের কথা মনে হয়, বাংলাদেশ নামের একটা দেশের গর্বিত পদচারণাকে মনে হয়।
মাশরাফি এক জাতির জীবনে একবারই আসে। সেই আসাটাও সময়ের ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই হয়। নতজানু বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে যে গর্বিত বাংলাদেশ হাঁটছে পৃথিবীর বুকে, মাশরাফি সেই বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। কোন ম্যাচ হারা-জেতার সাথে সেই প্রতীকের সম্পর্ক নেই, সম্পর্কটা একটা জাতির অহংকার নির্মাণের।
ভালোবাসা ক্যাপ্টেন!
(ফেসবুক থেকে সংগৃহিত)
ড. কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।