মিশিগানে এক সপ্তাহে ৫ বাংলাদেশির মৃত্যু


যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে এক সপ্তাহে পাঁচজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন করোনায় মারা গেছেন। বাকি তিনজন বার্ধক্যজনিত রোগে মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, রোববার (৯ মে) বিকেলে স্থানীয় একটি হাসপাতালে মারা গেছেন নূর মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি তরিকুর রশীদ চৌধুরী। স্বজনরা বলেছেন, কয়েক মাস আগে তার ছেলে জাহিদ চৌধুরী তাজের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ছেলে হারানোর শোকে ভেঙে পড়েন তিনি। এছাড়াও বার্ধক্য কারণে নানান রোগে ভুগছিলেন। তরিকুর রশীদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কামারগাও গ্রামে। আশির দশকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।

এর আগের দিন শনিবার দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান। তিনি ছিলেন ওয়ারেন সিটির হিরাফিস নামক গ্রোসারি স্টোরের মালিক। এছাড়া তিনি ডেট্রয়েট সিটির মসজিদ আল ফালাহ্ বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাপতি এবং মুনার মিশিগান স্টেট শাখার সদস্য ছিলেন। তার স্বজনরা জানিয়েছেন, মুজিবুর সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকার পর তিনি মারা যান। তার বাড়ি সিলেট জেলার ওসমানী নগর উপজেলার খুছগীপুর গ্রামে।

গেল ২ মে করোনায় মারা গিয়েছেন কমিউনিটির আরেক পরিচিত মুখ মাওলানা আব্দুল বাছিত। তিনি ছিলেন ইসলামিক সেন্টার অব ওয়ারেনের প্রতিষ্ঠাতা ও খতিব। তিনি ওয়ারেনের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান। মাওলানা বাছিতের দেশের বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুড়িকান্দি গ্রামে।

গত বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে মারা গেছেন হেমট্রামিক সিটির সাবেক কাউন্সিলর আবু আহমেদ মুছার মা। সোমবার মারা গেছেন ওয়ারেন সিটির বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম মাস্টার নামে আরেক বাংলাদেশি প্রবাসী। তবে করোনা সংক্রমণে নয়, তারা বার্ধক্যজনিত অসুখে মারা গেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন।  উভয়ের দেশের বাড়ি সিলেট জেলায়। তারা বাস করতেন বাংলাটাউন খ্যাত হেমট্রামিক সিটিতে।

একের পর এক মৃত্যু সংবাদে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কমিউনিটির সদস্যরা প্রয়াতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে মিশিগানের প্রতিটি মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা করা  হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *