বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছেন শত শত মানুষ। এর প্রাদুর্ভাব কিছুদিনের মধ্যেই মহামারির চেয়েও বড় বিপর্যয় হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত(১১ মার্চ) মিশিগানেও পাওয়া গেছে দুইজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। গতকাল রাতে (১০ মার্চ) মিশিগান স্টেইট গভর্নর গ্রাচাম হুইটমার ঘোষণা করেছেন স্টেইট অব ইমার্জেন্সী। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, এই ভাইরাসকে উপলক্ষ্য করে মিশিগানের কিছু বাংলাদেশী গ্রোসারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর । বিশেষ করে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, আটা, আদা, রসুন, ভোজ্যতেলসহ প্রায় সব পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে ।
অভিযোগের সত্যতা জানতে বাংলা সংবাদের পক্ষ্য থেকে বেশ কয়েকটি গ্রোসারী শপে যোগাযোগ করা হলে নাকচ করে দেন গ্রোসারী মালিকরা । তারা বলেন “একটি চক্র মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এটা সত্য যে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য নাই তবে আমাদের পক্ষ্য থেকে আমরা দাম বাড়াইনি, তবে কিছু পাইকারী ব্যবসায়ী যদি পণ্যের দাম বাড়ান তাহলে আমাদের তো উপায় নাই দাম বাড়ানো ছাড়া ” অন্য আরেকজন গ্রোসারী মালিক বলেন “আমি শুনেছি কিছু বাংলাদেশী গ্রোসারী মালিক সত্যি সত্যি কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন, যা খুব ই দুঃখজনক । আমরা বাংলাদেশী, আমাদের ভাবা উচিত আমার পরিবার ও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে, তখন আমি কি করবো? এটা ইথিকালি ঠিক না। আমাদের উচিত সবাই মিলে করোনাকে প্রতিহত করা” ।
বাংলা সংবাদের পক্ষ্য থেকে একজন পাইকারী ব্যবসায়ী ও ডিস্ট্রিবিউটরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন “একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে । তারা কিছু ব্যবসায়ীর পক্ষ্যে নেমে কমিউনিটিতে এরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আসলে এমন কিছু ই হয়নি । বেআইনিভাবে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে একজন ক্রিমিনাল আইনজীবির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ” আমেরিকায় এটি বেআইনি যদি কেউ এমনটি করেন। একজন বিবেকবান মানুষ এটি করতে পারেন না। যদি কোন ক্রেতা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে তিনি কোর্টে মামলা করতে পারেন।”