গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। অমানবিক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সপ্তাহজুড়ে দেশটির শহরে শহরে চলছে গণবিক্ষোভ। কমপক্ষে ৮০ শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আগুন। বিক্ষোভ ঠেকাতে অন্তত ৪০ টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে । কারফিউ ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার আন্দোলনকারীরা। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। অনেক স্থানে বিক্ষোভ রূপ নিয়েছে সহিংস দাঙ্গায়। কোন কোন স্থানে সুযোগসন্ধানীরা সুপারমলে লুটপাট চালিয়েছে। এমনকি অগ্নিসংযোগ করেছে পুলিশের গাড়িতে।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত মিশিগান রাজ্যেও বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। অন্যদিনের মত বুধবারও দিনভর অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। ডেট্রয়েট ডাউনটাউনের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাদা-কালো ভেদাভেদ ভুলে সববর্ণ ও কমিউনিটির হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। কারফিউ অমান্য করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ডেট্রয়েট জাপার শোন এভিনিউ সড়ক হয়ে ডেট্রয়েট ডাউনটাউনের অভিমুখে অনেকটা শান্ত- সৃষ্টভাবে হাঁটছে বিক্ষোভকারীরা। ব্যানার, পেস্টুন, প্লেকার্ড সংবলিত বিক্ষোভকারীরা মাঝে মাঝে মূর্হুমুর্হু স্লোগানও দিচ্ছেন। বিক্ষোভ মিছিলের পেছনে ও সামনে অন্ততপক্ষে ২০ থেকে ২৫ টি পুলিশের গাড়ি টহল দিচ্ছে। মিছিলের ওপর দিক থেকে পুলিশের ৩টি হেলিকপ্টার টহল দিয়ে বিক্ষোভকারীদের নজর রাখতে দেখা গেছে।
বুধবার পর্যন্ত গেল চারদিনে মিশিগানে সাড়ে তিন শ’র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কারফিউ ভঙ্গ করার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মিশিগান রাজ্যে গভর্নর, সিটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে খবর পাওয়া গেছে।