করোনা মহামারির এ সময়ে মিশিগানে প্রবাসি বাংলাদেশিদের ক্রিড়া সংগঠন মিশিগান বেঙ্গলস আয়োজন করেন মিশিগান বেঙ্গলস কাপের তৃতীয় আসর। এ আয়োজনে আয়োজকবৃন্দ সকল খেলোয়ার ও দর্শকদের মহামারির সকল নির্দেশনা মেনে চলায় জোর দিয়েছেন ও বিনা মুল্যে সকল খেলোয়ারদের মাস্ক ও হাত বিশুদ্ধকরণ (স্যানিটাইজার) সরবরাহ করা হচ্ছে।
গত শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ট্রয় কমিউনিটি ক্রিকেট মাঠে আয়োজিত হয় মিশিগানের বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রিয় খেলা ক্রিকেটের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কোভিড ১৯ মহামারির কারণে এ বছর টুর্নামেন্ট মাত্র চার টিম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে এই আয়োজনে মিশিগানের বিভিন্ন শহরের বাংলাদেশি আমেরিকান চাকরিজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত এ চার দল অংশ নিচ্ছে। গত বছর এ টুর্নামেন্টে আট দল অংশ নেয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মিশিগান বেঙ্গলস ক্লাবের উপদেষ্টা ও জেনারেল মটরস কোম্পানির ম্যানেজার সাইদ ফয়সাল, ফরিদ চৌধুরী এবং তূর্য ইমাম। সংক্ষিপ্ত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিশিগান বেঙ্গলসের পরিচালক সাইফ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে অন্যান্য পরিচালিকদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আজিজ, ডঃ মারুফ মনোয়ার জয়,কৌশিক আহমেদ এবং রসি মীর। মিশিগান বেঙ্গলস ক্রিকেট কমিটির নির্বাহী আমিন সরফুজ্জামান, আবির হাসান, হাসান খান, কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন চারদলের খেলোয়ার ও অধিনায়কবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা জাফরি আল ক্বাদরী, মোহাম্মদ শহিদুল খান রুবেল, আমেরিকায় বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের সংগঠন আবিয়ার প্রাত্তন সভাপতি জাকিরুল হক টুকু, মারুফ কুতুব, গোলাম মাইনুদ্দিন তানভীর প্রমুখ।
এ বছর টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দলগুলো হচ্ছে—মিশিগান হিরোস, মিশিগান কোবরা, মিশিগান টাইটানস, ও মিশিগান অ্যাভেঞ্জারস। প্রতিটি দল নিজেরদের মাঝে খেলার পর শীর্ষ দুই দল ফাইনাল খেলবে। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় মিশিগান টাইটান ও মিশিগান এভেঞ্জার। এতে টাইটান ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন টাইটানের রাজশেখর পাল রাজেশ দিনের দ্বিতীয় খেলায় মিশিগান হিরোস ও মিশিগান কোবরার খেলায় হিরোস ৬ উইকেটে জয় লাভ করে। সবোচ্চ রান করেন তারিক খান।
আয়োজক কমিটির নেতা রসি মীর ও কৌশিক আহমেদ টুর্নামেন্ট সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। উনারা প্রত্যাশা করেন ক্রিকেটপাগল প্রবাসী বাংলাদেশিরা মাঠে আসবেন, খেলবেন ও প্রিয় দলকে সমর্থন করবেন।