যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘খোকা থেকে মুক্তি সংগ্রামের নায়ক’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন এবং আলোকচিত্রী প্রদর্শনী করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার বিকালে বাংলাটাউন খ্যাত হেমট্রামিক সিটির আলম কমপ্লেক্স মিলনায়তনে মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠান ও একদিনের চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে জাতির জনকের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা, ১৫ আগস্টে ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে শহীদ হওয়ার ভয়াবহতার চিত্র, হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জেরান্ড ফোর্ডের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ কীর্তিমান মহানায়কের জীবনকর্ম তুলে ধরা হয়। ‘খোকা থেকে মুক্তি সংগ্রামের নায়ক’গ্রন্থটি লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সুলতান জে শরীফ।
তার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্মের একশোটি ছবি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোস্তাক আহমেদ।
বিশেষ অথির বক্তব্য রাখেন মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমদ চান, সাধারন সম্পাদক আবু আহমদ মুসা, কানেকটিকা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জুনেদ খান ও আলোচক ছিলেন মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা নুরুল আমিন মানিক।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সুলেমান আহমেদ, ফারুক আহমদ, সৈয়দ মতিউর রহমান শিমুল, আবুল হোসেন, সেবুল আহমদ, রাজেল তালুকদার,মাহমুদ হোসেন, সামাদ আহমেদ, মাহমুদ হোসেন, সামাদ আহমেদ, আফজাল লুদী, কামরুল হাসান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জন্য এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। মিশিগানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নতুন প্রজন্মের হাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে পৌঁছে দিতে চিত্র প্রদর্শনী ও ‘খোকা থেকে মুক্তির সংগ্রামের নায়ক’বই রচনা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এজন্য লেখককে সাধুবাদ জানান তারা।
গ্রন্থের সম্পাদক সুলতান জে শরীফ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে তার এই আয়োজন। বইটি উৎসর্গ করেন তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানি কমান্ডার প্রয়াত মো.আব্দুল মুছাব্বিরকে। মিশিগানে নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে গ্রন্থটি ইংরেজি ভাষায় রুপান্তর করা হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবু আহমেদ মুসা ও কোরআন তেলায়াত করেন আজিজুর রহমান ।